রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলে নস্টালজিক হলেন মেয়র লিটন

রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণের পাশাপাশি আব্দুল মতিন মেধাবৃত্তি, সতীর্থ ৭৪ বৃত্তি, আসফিয়া আজফার বৃত্তি, ফজলার রহমান মেমোরিয়াল বৃত্তি প্রদান করা হয়।

রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক ড. নুরজাহান বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সতীর্থ-৭৪ এর সভাপতি প্রকৌশলী একেএম খাদেমুল ইসলাম ফিকশন। অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-অভিভাবকসহ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মেয়র লিটন বলেন, বর্তমান সরকার পুঁথিগত শিক্ষার পাশাপাশি হাতেকলমে শিক্ষা প্রদানে গুরত্বারোপ করেছে। পুঁথিগত শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হলে কাজের সুযোগ বেশি পাওয়া যায়।

অভিভাবকদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, সন্তানেরা পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করবে, গোল্ডেন-৫ পাবে এটি সব অভিভাবকরাই চান, এটি চাইতেই পারেন। এর পাশাপাশি ছেলে-মেয়েদের খেলাধুলার সুযোগ দিতে হবে। তাদের শারীরিক বিকাশটা ঠিকমত না হলে তারা দুর্বল হয়ে যাবে। সুযোগ পেলেই আপনাদের সন্তানদের মাঠে ময়দানে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরতে নিয়ে যেতে হবে। এতে তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটবে। আজকের এই শিক্ষার্থীরাই দেশকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

বক্তৃতাকালে নিজের ছাত্রজীবনের স্মৃতিচারণ করে মেয়র বলেন, ‘আমি নিজেও রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র ছিলাম। আমার পিতা শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান এই স্কুলের ছাত্র ছিলেন। এই স্কুলে আমার নানা স্মৃতি ছড়িয়ে রয়েছে। প্রায় দুইশ’ বছরের প্রাচীন এ স্কুলের কৃতি শিক্ষার্থীরা দেশ ও দেশের বাইরে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। এ বিদ্যাপীঠ থেকে পড়াশুনা শেষ করে শুধু ডাক্তার, ব্যারিস্টার ও ইঞ্জিনিয়ার নয়, এই স্কুলের ছাত্ররা আমেরিকার সরকারি গুরুত্বপূর্ণ পদে এবং নাসাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় দায়িত্ব পালন করছেন। এটি আমাদের সকলের জন্য গর্বের।’

leave a reply