রাজশাহীর সোনাদীঘিতে অত্যাধুনিক শপিং কমপ্লেক্স সিটি সেন্টারের উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় ১৬তলা বিশিষ্ট এই আইকনিক ভবনের উদ্বোধন করেন রাজশাহীর সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এসময় এনা গ্রুপের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোঃ এনামুল হক এমপি উপস্থিত ছিলেন।
সিটি সেন্টারের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আলোচনা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাসিক মেয়র বলেন, দীর্ঘদিন জায়গাটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। আর সোনাদীঘির ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছিল। আমি প্রথম মেয়াদে মেয়র থাকাকালে পিপিপি‘র আওতায় সিটি সেন্টার ও সোনদীঘিকে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছিলাম, আজ সেটি বাস্তব হলো।
মেয়র আরও বলেন, রাজশাহীতে এখন পর্যন্ত কোন ফাইভস্টার হোটেল নেই। এবার সিটি সেন্টারের হোটেল র্যাডিসন নামে একটি ফাইভস্টার হোটেল করার উদ্যোগ নিয়েছে এনা গ্রুপ।
অনুষ্ঠানে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা, এনা গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোসলেহ্ উদ্দিন, জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মমিন, ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন আনার, ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন, ১৫নং কাউন্সিলর আব্দুল সোবহান, ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাসেল জামান,সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর শিরিন আরা খাতুন, আয়েশা খাতুন, মুক্তিসহ রাজনৈতিক, সামাজিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন
সোনাদীঘির হারানোর ঐতিহ্য ফিরে আনতে ২০০৯ সালে প্রথম মেয়াদে উদ্যোগ নেন সিটি মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের আওতায় নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনা প্রপার্টিজের সাথে ১৬ তলা বিশিষ্ট সিটি সেন্টার নির্মাণ ও সোনাদীঘিকে সাজানোর চুক্তি করে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন। সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের প্রথম মেয়াদের সময়কালে (২০০৮-১৩) এর নির্মাণ কাজ এগুলেও পরবর্তী পাঁচ বছর কাজ বন্ধ থাকে।
২০১৮ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে মেয়র হিসেবে দায়িত্বগ্রহণের পর সিটি সেন্টার ও সোনাদীঘিকে সাজানোর কাজে গতি ফেরান লিটন।েএরপর বিভিন্ন স্থাপনা, মসজিদ ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সোনাদীঘিকে উন্মুক্ত করা হয়। বৈধ ব্যবসায়ীদের সিটি সেন্টারে পুর্নবাসন করা হয়। নির্মাণ কাজ ও সাজানো শেষে সিটি সেন্টার হয়ে উঠছে অন্যতম বাণিজ্যকেন্দ্র আর সোনাদীঘি এখন দৃষ্টিনন্দন বিনোদনকেন্দ্র। দীঘিকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা হচ্ছে পায়ে হাঁটার পথসহ মসজিদ, উন্মুক্ত মঞ্চসহ অনেক কিছু।