নানা কারণে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় রংপুর অঞ্চল উন্নয়নে এখনো পিছিয়ে রয়েছে। এ অঞ্চলের উন্নয়নে কৃষি, বাণিজ্য, শিল্পায়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মহাপরিকল্পনা নিয়ে বিনিয়োগ এবং বার্ষিক বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ প্রয়োজন। এছাড়াও বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে উদ্যোক্তাদেরকে সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে। রংপুর অঞ্চলে সরকার ঘোষিত ‘বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। এজন্য যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।
শনিবার রংপুর নগরীর আরডিআরএস মিলনায়তনে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘বঙ্গবন্ধু স্মারক বক্তৃতা ও রংপুর বিভাগ উন্নয়ন সমস্যা, সম্ভাবনা ও সুপারিশ’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সেমিনারে অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাত ‘বঙ্গবন্ধু-দর্শন: তত্ত্ব, প্রয়োগ ও সম্ভাবনা’ বিষয়ে সেমিনারে স্মারক বক্তৃতা করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর দর্শন বাস্তবায়ন করা হলে দেশে কোনও বৈষম্য থাকবে না। জনসংখ্যা জনশক্তিতে রূপান্তরিত হবে। আর্থ-সামজিক উন্নয়ন হবে।
আবুল বারকাত আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর দর্শন হলো জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের দৃষ্টিভঙ্গি, জীবনদর্শন, রাষ্ট্রচিন্তা, সমাজ ভাবনা, রাজনৈতিক দর্শন ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন-প্রগতি ভাবনার যৌথরূপ। যদি বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকতেন এবং তাঁর দর্শন বাস্তবায়িত হতো তাহলে অর্থনৈতিক মানদণ্ডে সমসাময়িক দেশগুলোর মধ্যে অনেক দেশকে বাংলাদেশ অতিক্রম করতো।
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সহ-সভাপতি প্রফেসর হান্নানা বেগমের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তৃতা করেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া ডিনা, অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মোঃ মোরশেদ হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. আইনুল ইসলাম সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তৃতা করেন।
সেমিনারে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং রংপুর অঞ্চলের শিক্ষাবিদ, অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ অংশ নেন।