রংপুর জিলা স্কুল মাঠে আওয়ামী লীগের বিভাগীয় মহাসমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়েছে, যে সমাবেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ জনসভায় যোগ দিতে হেলিকপ্টারে করে বুধবার দুপুর সোয়া একটায় রংপুর সেনানিবাসে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে তিনি যান সার্কিট হাউজে।
সেখানে স্থানীয় সরকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিকেল তিনটায় তিনি জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের মহাসমাবেশে যোগ দেবেন।
এর আগে সবশেষ ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর নিজের শ্বশুরবাড়ির এলাকা রংপুরে এসেছিলেন শেখ হাসিনা। একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে সেই সফরে পীরগঞ্জ ও তারাগঞ্জে দুটি জনসভায় যোগ দিয়েছিলেন তিনি।
প্রায় পাঁচ বছর পর প্রধানমন্ত্রীর রংপুর সফরকে কেন্দ্র করে জেলায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সমাবেশস্থলের আশপাশে মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র্যাব।
দুপুর ১২টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে জিলা স্কুল মাঠে এ মহাসমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়। পরে ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করা হয়।
রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ডা. দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে জনসভার কার্যক্রম শুরু হলে রংপুর বিভাগের আট জেলা থেকে আসা নেতারা পর্যায়ক্রমে বক্তব্য দিতে শুরু করেন।
রংপুর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত এই বিভাগীয় মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা।
তার আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দীও বক্তব্য দেবেন।
প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে পুরো শহরে চলছে উৎসবের আমেজ। সকাল থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিলে মুখরিত পুরো নগরী। ‘শেখ হাসিনার আগমন, শুভেচ্ছা-স্বাগতম’ স্লোগানে মুখর রংপুরের অলিগলি।
এ বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকেও দলে দলে নেতা-কর্মীরা এসেছেন মহাসমাবেশে যোগ দিতে। বাহারি সাজসজ্জা আর বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে বিভিন্ন স্লোগানে নেচে গেয়ে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন তারা।
বাস, ট্রেন, মাইক্রোবাস, পিকআপ ভ্যান, সিএনজি বা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা করে নেতাকর্মীরা এসেছেন লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, দিনাজপুর ও রংপুরের বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন থেকে।
রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজউল করিম রাজু বলেন, “মহাসমাবেশে ১১ লাখের বেশি মানুষের সমাগমের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। রংপুর বিভাগের ৫৮টি উপজেলার প্রতিটি উপজেলা থেকে কমপক্ষে ৩-৪ হাজার মানুষ আসবে বলে আমরা আশা করছি।”
Wow, fantastic weblog structure! How long have you been blogging for?
you make blogging glance easy. The overall glance of your
web site is wonderful, let alone the content material! You can see
similar here e-commerce