‘যুক্তরাষ্ট্র গুচ্ছবোমা দিলে একই অস্ত্র ব্যবহারে বাধ্য হবে মস্কো’

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের মধ্য দিয়ে সূত্রপাত হয় দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের যুদ্ধ। দেড় বছরের বেশি সময় কেঁটে গেলেও যুদ্ধ বন্ধের কোন লক্ষণ নেই। উল্টো প্রতিনিয়তই নতুন করে সংঘর্ষে জড়াচ্ছে দুই পক্ষ। এতে একদিকে যেমন বাড়ছে হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি, অন্যদিকে স্থিতিশীলতা হারাচ্ছে বিশ্ব রাজনীতিসহ নানা বিষয়। ইউক্রেনে রাশিয়া হামলার পর থেকেই দেশটিকে অস্ত্র ও যুদ্ধ সরঞ্জাম দিয়ে সহায়তা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে সম্প্রতি দেশটিকে ক্লাস্টার বোমা সরবারহের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। তার জবাবে কড়া হুশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া।

মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ক্লাস্টার বা গুচ্ছবোমা দিলে মস্কো একই ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করতে বাধ্য হবে। সের্গেই শোইগুকে উদ্ধৃত করে রুশ সংবাদ সংস্থাগুলোর খবরে বলা হয়, রাশিয়ার কাছে প্রয়োজনীয়সংখ্যক গুচ্ছবোমা রয়েছে। আর তা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। কিন্তু তারা এখন পর্যন্ত তাদের সামরিক অভিযানে এই বোমা ব্যবহার করেনি। তবে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, প্রায় ১৭ মাসের এই সংঘাতকালে মস্কো ও কিয়েভ উভয়ই যুদ্ধক্ষেত্রে গুচ্ছবোমা ব্যবহার করেছে।

যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে এই বোমার উৎপাদন, মজুত ও ব্যবহার বন্ধে বিশ্বের ১২৩টি দেশ একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি সই করেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেন ও রাশিয়া এই চুক্তিতে সই করেনি। ইউক্রেনকে ক্লাস্টার বোমা সরবারহের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে মস্কো। এমনকি এ ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাজ্য, কানাডা, জার্মানিসহ যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্ররাও।

তবে কিছুদিন আগে, ব্যাপকভাবে নিষিদ্ধ এই ক্লাস্টার বোমা রাশিয়ার ভূখন্ডে ব্যবহার করা হবে না বলে জানিয়েছিলো ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ। তবে ব্যাপকভাবে নিষিদ্ধ এই ক্লাস্টার বোমা রাশিয়ার ভূখন্ডে ব্যবহার করা হবে না বলে জানিয়েছে ইউক্রেন। নিজেদের দেশের ভূখণ্ড দখলমুক্ত করতে কিয়েভ এই অস্ত্র ব্যবহার করবে বলে অঙ্গীকার করেছিলেন তিনি।

leave a reply

Reendex

Must see news