মাদারীপুর পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের উকিলপাড়া এলাকায় জাল দলিল করে কোটি টাকার জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে ওই এলাকার কাজী আব্দুস সামাদের ওয়ারিশদের বিরুদ্ধে। বাস্তবে ওই জমির মালিক সরকার ও স্থানীয় লোকজন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ওয়ারিশ সনদ ও প্রত্যয়নপত্র এসএ পর্চা জাল করে মাদারীপুরের ১১১ নং শুকনি মৌজার ১৮ শতাংশ জমির দলিল জাল করে নেয় কাজী আবদুস সামাদ। পরে ১৯৮০ সালে হেমাপ্রভা ঘোষের ৬২ শতাংশ জমি শুকনি মৌজার কাজী আব্দুস সামাদ তার মামাতো ভাইয়ের নামে কৌশলে জাল দলিল করে নেয়। তার কয়েক মাস পর আব্দুস সামাদ তার মামাতো ভাইয়ের কাছ থেকে জমি ক্রয়ের নাম করে নিজের নামে দলিল করে নেয়। ৮০ শতাংশের দলিলকৃত জমির পূর্বের মালিক ছিলেন হেমাপ্রভা ঘোষ, যার দলিল নম্বর একই (নং ৩৭৩/৩৭৪ (৩৭৩-৬২৯)।
ওই দলিলের নকল তুলে দেখা গেছে, ১১১ নং শুকনি মৌজার ১৮ শতাংশ জমির মালিক হেমাপ্রভা ঘোষ। পরে ওই জমিটি বিক্রি করা হয়। অভিযুক্তরা পরে জাল দলিল ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জাল করে মাদারীপুর সদর সহকারী কমিশনার ভূমি অফিস থেকে নামজারিও করে নেয় কৌশলে।
ভুক্তভোগী রেহানা পারভীন লিপা অভিযোগ করেন, ‘এই জমির একটি অংশের অংশীদার আমি। আমার প্রতিবেশী কাজী আব্দুস সামাদ আমাদের বিরুদ্ধে একটা মামলা দায়ের করেছে তাদের জমি আমাদের ঘরের ভেতরে আছে বলে। চার বছর ধরে এ মামলা চলছে। যখন আমি কাগজপত্র তুলে দেখি কাজী আব্দুস সামাদের ওয়ারিশরা যে সূত্রে জমির মালিআনা দাবি করে, ওই কাগজপত্রগুলো তাদের জাল। তারা কীভাবে জাল দলিল করে এ জমি দখল করতে চায়? আমি প্রশাসনের কাছে বিচার চাই।’
কাজী আব্দুস সামাদের ওয়ারিশদের সাথে জমি দখলের বিষয় জানতে চাইলে তারা বলেন, আমাদের সব জমির সকল কাগজপত্র ঠিক আছে। এখানে জাল দলিল আসবে কোথা থেকে। সব অরজিনাল দলিলপত্র। আমার বাবা এই জমির প্রকৃত মালিক। আমাদের জমির সকল কাগজপত্র আছে। আমরা তাদের একটা ঘরের মধ্যে জমি পাব। এজন্য আমরা তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছি আমাদের জমি উদ্ধার করার জন্য।
মাদারীপুর পৌরসভার ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. আকবর হোসেন বলেন, আমি নতুন এসেছি, এ সম্পর্কে আমি তেমন কিছু জানি না। পরে সরেজমিন গিয়ে নির্দিষ্ট স্থান ঠিক করে জমি মেপে পরিমাণ নির্ণয় করা হবে। জাল দলিল করে জমি দখলের বিষয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।