মাদারীপুর সদর উপজেলার শিরখাড়া ইউনিয়নের শ্রীনদী এলাকায় দু’টি বাড়ির মাঝখানে বেড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় মা মেয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটেছে। আহত মা নারগিস বেগম ও মেয়ে মাহমুদা আক্তার মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
ভুক্তভোগী নারগিস বেগম জানান, ‘মিস্ত্রি নিয়ে বাড়ি দু’টির মাঝখানে বাঁশ দিয়ে বেড়া দিতে গেলে আমার মেয়ে মাহমুদা আক্তারের সাথে পাশের বাড়ির মঞ্জুরের ছেলের কথাকাটি হয়। এর জের ধরে মঞ্জুরের স্ত্রী লাকী বেগম (৩৬) ও মেয়ে ছেলেসহ আমাদের ওপর হামলা করে। লাকী আমাকে অনেক মারধর করে কানের দুল ছিঁড়ে নিয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, লাকী বেগম প্রায়ই বাড়ির জায়গা নিয়ে অনেক অত্যাচার করে। শ্রীনদী পুলিশ ফাঁড়ি, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অনেকবার শালিস করেও কোনও সুরাহা হয়নি। লাকি কারো কথা মানে না।
নারগিস বেগমের স্বামী পান্নু শিকদার বলেন, আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। লাকি কখন কোন ক্ষতি করে ফেলে সেই আতঙ্কে আছি। আমরা প্রশাসনের সাহায্য চাই।
মাদারীপুর সরকারি কলেজে অর্নাস পড়ুয়া মাহমুদা আক্তার (২২) বলেন, ওরা আমাকে অনেক মারধর করেছে। লাকি তার বাবা কাদের মাতুব্বর, ওর ভাই অলি মাতুব্বরের ক্ষমতা দেখায়। সে তার ভাইদের দিয়ে আমাদেরকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিয়েছে। তাদের ভয়ে আমি কলেজে যেতে পারছি না।
প্রতিবেশী খালেক শেখ (৫০) জানান, প্রায়ই তাদের এই জায়গা নিয়ে দ্বন্ লেগে থাকে। লাকি সবার সাথেই ঝগড়া করে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত লাকী বেগম জানান, আমরা তাদের কিছুই বলিনি। তারাই আমার মেয়েসহ আমাকে পিটেয়ে আহত করেছে।
এ বিষয়ে মাদারীর সদর মডেল থানার ওসি মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, ভুক্তভোগী পরিবারের কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।