সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর। ৩৬ দশমিক ৮১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ পৌরসভায় প্রথমবারের মতো বুধবার নির্বাচন হয়। এতে ৮ হাজার ৪৭৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিবুর রহমান। মেয়র হওয়ার আগে তিনি দুবার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
নির্বাচনের আগে সংবাদ সম্মেলন করে ‘ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের’ আশঙ্কা করেছিলেন। এখন কী বলবেন?
মুহিবুর রহমান: আসলে এটা আমার অমূলক আশঙ্কা ছিল। প্রার্থীরা যেন ‘কালোটাকা’ ছড়িয়ে ভোটের মাঠকে প্রভাবিত করতে না পারেন, সে ব্যাপারে নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার জন্য আমি এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলাম। এ ছাড়া ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট কারচুপি হতে পারে, এমন আশঙ্কা কেউ কেউ করেছিলেন। সে জন্য আমিও শঙ্কা প্রকাশ করে সংবাদ সম্মেলন করেছিলাম। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। এটাই তৃপ্তি।
পৌরসভার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মেয়র পদে জয়ী হয়েছেন। কেমন লাগছে?
মুহিবুর রহমান: এর আগে আমি উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছি। তাই জনপ্রতিনিধি হওয়া আমার জন্য নতুন কিছু নয়। তবে পৌরসভার প্রথম নির্বাচনেই মেয়র হয়েছি, স্বাভাবিকভাবে একটা ভালোলাগা তো আছেই। পৌরবাসী আমার প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা রেখে বিপুল ভোটে বিজয়ী করেছেন। এর প্রতিদান নিশ্চয়ই আমি কাজ ও কর্মে সব সময় দেওয়ার চেষ্টা করব। যেহেতু জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি পুরোনো, তাই আগের অভিজ্ঞতা এখন কাজে লাগাতে পারব।
প্রথম আলো: পৌরসভা পরিচালনায় কোন বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে চান?
মুহিবুর রহমান: যেহেতু নতুন পৌরসভা, তাই শুরু থেকেই পৌরসভাকে একটা মহাপরিকল্পনার আওতায় নিয়ে আসতে চাই। মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করে শহর সাজাতে চাই। এরপর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমার উদ্যোগ থাকবে। একটা আদর্শ, গোছানো ও পরিকল্পিত পৌরসভা প্রতিষ্ঠা করাই আমার মূল লক্ষ্য হবে। রাস্তাঘাটের বেহাল দূর করতে প্রথমেই উদ্যোগী হব। এ ছাড়া ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ নাগরিক সমস্যাগুলোকে চিহ্নিত করে সুপরিকল্পিতভাবে পৌরসভা পরিচালনা করতে চাই। শিক্ষার বিস্তার ঘটাতেও কাজ করতে চাই।