ভারতের ওড়িশার ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে এখনো বাংলাদেশি কোনও নাগরিকের নাম পাওয়া যায়নি। সরকারিভাবেও এখনো এমন তথ্য কলকাতায় বাংলাদেশের উপহাইকমিশনের হাতে আসেনি। তবে দুজন আহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন উপহাইকমিশনের এক কর্মকর্তা।
উপহাইকমিশনের মুখপাত্র রঞ্জন সেন জানান, আহত দুজন হলেন রাজশাহীর রাসেলুজ্জামান ও বগুড়ার হাবিবুর রহমান। তিনি আরও বলেন, গতকাল দুর্ঘটনার পর থেকেই হটলাইন চালু রয়েছে। রাসেলের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি হটলাইনে জানিয়েছেন, রাসেল এখন ওড়িশার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হাবিবুর রহমানের নাম পাওয়া গেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর অফিস নবান্নের তালিকা থেকে।
রঞ্জন সেন আরও বলেন, উপহাইকমিশনের পক্ষ থেকে এখনো আহত দু’জনের বিষয়টি যাচাই করা যায়নি। ইতোমধ্যে উপহাইকমিশনের দ্বিতীয় সচিবের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল ওড়িশার উদ্দেশে রওনা হয়েছে। তারা গেলে বাংলাদেশি কেউ হতাহত হয়েছেন কি না, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।
উপহাইকমিশনের মুখপাত্র বলেন, কর্মকর্তাদের ওড়িশায় পৌঁছাতে সমস্যা হচ্ছে, কারণ রাস্তায় অনেক গাড়ি আটকা পড়েছে। কলকাতা থেকে ওড়িশা হয়ে দক্ষিণ ভারতগামী অসংখ্য ট্রেনের যাত্রা বাতিল হয়েছে বা অন্য রুটে চালানো হচ্ছে।
তবে অনেকে অভিযোগ করেছেন, উপহাইকমিশন যে হটলাইন নম্বর চালু করেছে তাতে ফোন করে অনেক সময় লাইন পাওয়া যাচ্ছে না। এ বিষয়ে রঞ্জন সেন বলেন, ‘ঘণ্টায় ৫০টির বেশি ফোন আসছে। সাধারণ লাইন ও হোয়াটসঅ্যাপ—দুভাবেই ফোন করা যাচ্ছে। সাধারণ নম্বর চলতে থাকলে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন ঢুকতে পারে না বা হোয়াটসঅ্যাপে একটি কল চলতে থাকলে অন্য কলটি ঢোকে না। এ কারণে হয়তো অনেক সময় ফোন করে পাওয়া যাচ্ছে না। লাইন সব সময় ব্যস্ত থাকছে।
ওড়িশা রাজ্যের বালাসোরে ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে এ পর্যন্ত ২৮8 জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে সরকারি হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে ২৬১ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে যাবেন বলে জানা গেছে।