বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানো উৎসাহিত করতে অ্যাওয়ার্ড চালু

প্রথমবারের মতো দুবাই ও উত্তর আমিরাত বাংলাদেশ কনস্যুলেট বৈধ পথে রেমিট্যান্স বাড়াতে এবং উৎসাহ দিতে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কনসুলেট প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানে ৫২ জন রেমিট্যান্স যোদ্ধা ও ৩৯ জন সিআইপির হাতে সম্মাননা তুলে দেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।

বাংলাদেশ কনস্যুলেটের প্রথম সচিব (শ্রম) ফকির মনোয়ার হোসেনের সঞ্চালনা ও আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।

ইমরান আহমদ বলেন, দেশের অর্থনীতিতে প্রবাসীদের অবদান অনস্বীকার্য। প্রবাসীদের এভাবে সম্মানিত করায় আগামীতে বৈধ পথে রেমিট্যান্স বাড়বে। 

তিনি আরও বলেন, ‘দেশে বৈধ-অবৈধ দুটি উপায়ে রেমিট্যান্স যাচ্ছে। কষ্টার্জিত এই রেমিট্যান্স যাতে বৈধ পথে দেশে পাঠানো হয় সে বিষয়ে সচেতন হতে হবে। বৈধ উপায়ে রেমিট্যান্স পাঠালে দেশের অর্থনীতি লাভবান হবে, দেশ এগিয়ে যাবে।‘

পেশাজীবী ক্যাটাগরিতে এবার সাংবাদিকদেরও রাখা হয়েছে। এই ক্যাটাগরিতে রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন শিবলী আল সাদিক, লুৎফুর রহমান ও মোহাম্মদ ইসমাইল ।

অনুষ্ঠানে রেমিট্যান্স প্রসঙ্গ ছাড়াও সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে প্রবাসীদের মরদেহ দেশে পাঠানোর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। গত চার বছরে ৬৮ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় হয়েছে বলে বাংলাদেশ কনস্যুলেট প্রতিনিধি ফাতেমা জাহান জানান।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কনস্যুলেটের জেনারেল দুবাই জামাল হোসেন, সিআইপি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহতাবুর রহমান নাসির ও উদ্যোক্তা নাহিদা নিপা।

গত আগস্টে রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড ঘোষণা করে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত। এরপর অসংখ্য প্রবাসী বাংলাদেশির আবেদন থেকে যাচাই-বাছাই শেষে সাধারণ শ্রমিকদের দুটি আলাদা ক্যাটাগরিতে ২১ জন, ব্যবসায়ী ক্যাটাগরিতে ১৩ জন পুরুষ ও পাঁচজন নারী এবং পেশাজীবী ক্যাটাগরিতে ১৩ প্রবাসীকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়। 

একই সঙ্গে ২০১৯ ও ২০২০ সালে বাংলাদেশ সরকারের ঘোষিত বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসরত ৩৯ জন সিআইপি সম্মাননা দেওয়া হয়। 

leave a reply