যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে প্রায় তিন মাস পর ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। সোমবার (৫ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে পেঁয়াজবোঝাই তিনটি ট্রাক বেনাপোল বন্দরে পৌঁছেছে।
ঢাকার আমদানিকারক জারিফ ইন্টারন্যাশনাল বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৭৫ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি করেছে। এর আগে গত ১৫ মার্চ থেকে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করেছিল সরকার।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের উপ-কমিশনার তানভীর আহমেদ জানান, সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভারত থেকে ৭৫ মেট্রিকটন পেঁয়াজ বেনাপোল বন্দরে আনা হয়। প্রতি মেট্রিকটন ১৫০ মার্কিন ডলারে আমদানি হলেও শুল্কায়ন করা হয়েছে প্রতি মেট্রিকটন ৩২০ ডলারে। আমদানি করা পেঁয়াজ ছাড় করাতে ব্যবসায়ীদের শুল্কায়ন মূল্যের ওপর শতকরা ১০ শতাংশ হারে শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে।
আমদানিকারকের প্রতিনিধি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের স্বত্তাধিকারী রফিকুল ইসলাম রয়েল বলেন, ‘৭৫ মেট্রিকটন পেঁয়াজ বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। কাস্টমস ও বন্দরের প্রয়োজনীয় কাজ শেষে ঢাকায় পাঠানো হবে এসব পেঁয়াজ। প্রতিমেট্রিক টন ৩২০ মার্কিন ডলারে শুল্কায়ন ও সরকারি শুল্ক পরিশোধ করে প্রতি কেজি পেঁয়াজের মূল্য পড়ছে ৩৯ টাকা। এরপর বন্দর চার্জ, ট্রাক ভাড়াসহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে প্রতি কেজি ৪৫ টাকা পড়বে।’
বেনাপোল বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার বলেন, পেঁয়াজ আমদানির নির্দেশনা এসেছে। রয়েল এন্টারপ্রাইজ নামের একটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট তাদের আমদানিকারকের পক্ষে ৭৫ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানির উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রে আবেদন করেছেন। তাদের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
বেনাপোল আমদানি-রফতানিকারক সমিতির সভাপতি মহসিন মিলন বলেন, ‘দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক রাখতে কৃষি মন্ত্রণালয় ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির জন্য অনুমতি দিয়েছে। ইতোমধ্যে ব্যবসায়ীরা এলসি করেছেন। বাংলাদেশের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা যে পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানির এলসি করেছেন সেসব পেঁয়াজ এলে বর্তমান বাজারে পেঁয়াজের যে দাম তা অর্ধেকে নেমে আসবে।’
বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, আমদানি করা পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রুত খালাস করতে পারেন তার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।