বিরোধী মত দমনে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করা নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে অভিযোগ করেছেন তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সোমবার গণমাধ্যমে পাঠনো এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, বিএনপি মহাসচিব বিরোধী দল ও মত দমনের কথা বলছে। একদিকে তারা লাগাতারভাবে মিছিল-মিটিং সমাবেশ করে এবং সরকারের বিরুদ্ধে নির্লজ্জ মিথ্যাচার-অপপ্রচার
চালাচ্ছে ও বিষোদগারে লিপ্ত রয়েছে। অন্যদিকে বিরোধী মত দমনের মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করছে। বিএনপি নেতারা মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও তাদের অন্তর চরম স্বেচ্ছাচারিতা ও মিথ্যাচারে পরিপূর্ণ। স্বৈরচারী আদর্শ ও সন্ত্রাসের ধারক-বাহক এবং উগ্র-সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি সবসময় গণতন্ত্রের পথকে ভয় পায়। বিএনপির রাজনীতি হলো যে কোনও উপায়ে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির তথাকথিত আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ায় মির্জা ফখরুল ইসলামরা এখন পাগলের প্রলাপ বকছে। বিদেশি প্রভুদের কাছ থেকে প্রত্যাশিত সাড়া না পেয়ে এবং জনগণের কাছে বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়ে
বিএনপি নেতারা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তারা একেক সময় একেক কথা বলে। কখনো বিদেশি প্রভুদের কৃপা প্রত্যাশায় তাদের স্তুতি করে। আবার কাঙ্ক্ষিত সাড়া না পেয়ে তাদের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে। গণতন্ত্র, সংবিধান, আইনের শাসন, নির্বাচনী ব্যবস্থা হত্যা করে এখন তারা নিজেদের গণতন্ত্রকামী হিসেবে প্রকাশ করছে, যা হাস্যকর।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান ও তার উত্তরসূরী খালেদা জিয়ার শাসনামলে দেশে শুধুমাত্র যুদ্ধাপরাধী ও পাকিস্তানপন্থিরা রাজনীতি করতে পেরেছে।
তাদের সময় সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের অবাধ বিচরণ ছিল। মহান মুক্তিযুদ্ধের সুমহান আদর্শ ও প্রগতিশীল চেতনা নির্বাসিত ছিল। ২০০১ সালে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিএনপি ক্ষমতাদখলের পর আওয়ামী লীগের ২৬ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের জাতীয় নেতৃবৃন্দকে হত্যার
উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসবিরোধী শান্তি সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২২ নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়। নিজেদের কৃতকর্মের জন্য বিএনপির মধ্যে কোনও অপরাধবোধ নেই। তারা এখনো ওই হামলাকারীদের পক্ষে সাফাই গায়। আরেকটি ১৫ই আগস্ট সৃষ্টির হুমকি দেয়। যে দল নিজেরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ও সংস্কৃতিকে ধারণ করে না, দেশের মানুষকে তারা কী গণতন্ত্র দেবে?
বিবৃতিতে সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার নাগরিকের আশা- আকাঙ্ক্ষা ও মতামতকে ধারণ করে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে বলেই বাংলাদেশ আজ ধারাবাহিক অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পথে
এগিয়ে যাচ্ছে। দেশমাতৃকার এই সাফল্য-সংগ্রাম এগিয়ে নিতে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।