বাড়তি চাপ থাকলেও উত্তরের পথে নির্বিঘ্নে চলছে গাড়ি

ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। সোমবার দুপুর পর্যন্ত টাঙ্গাইলের গোড়াই থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড় পর্যন্ত ৬৫ কিলোমিটার মহাসড়কে যানজটের দেখা যায়নি। ফলে স্বস্তি নিয়ে বাড়ি ফিরছেন মানুষ।

তবে সোমবার সকাল থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে সেতুর পূর্বপাড় পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট দেখা গেছে। এ সময় থেমে থেমে চলছে যানবাহন।

এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জাহিদ হাসান জানান, ঈদের কারণে মহাসড়কে পরিবহনের চাপ বেড়েছে। রাতে ও সকালে বঙ্গবন্ধু সেতুর একাধিক দুর্ঘটনার কারণে মহাসড়কে যানজট দেখা দিয়েছিল। তবে সোমবার সকাল আটটার পর থেকে পরিবহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। যদিও এখনও মহাসড়কে পরিবহনের চাপ রয়েছে।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানিয়েছেন, মহাসড়কটির টাঙ্গাইলের সীমানায় যান চলাচল নির্বিঘ্ন করতে জেলা পুলিশ কাজ করছে। 

এদিকে, সোমবার ভোর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে উত্তরবঙ্গগামী বিভিন্ন জেলার যানবাহনের চাপ বেড়েছে। তবে কোথাও যানজট দেখা যায়নি। এই পথে যাত্রীবাহী বাস ছাড়ও পণ্যবাহী ট্রাক, মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে করেও অনেকে বাড়ি ফিরছেন।

রাজাশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মো. আব্দুল বাতেন জানান, ঈদ যাত্রায় মহাসড়কের যানবাহনে অতিরিক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে জেলা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ সমন্বয় করে কাজ করছে।

ঢাকা-উত্তরাঞ্চলগামী যানবাহনের চাপ বাড়তে শুরু করেছে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কেও। বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ে যানবাহনের চাপ বেশি থাকায় কড্ডার মোড়ের দক্ষিণ লেনে যত্রতত্র যাত্রী-উঠানামা করতে দেখা গেছে। এ কারণে ফ্লাইওভারের নিচে কিছু সময় পর পর গাড়ির জটলা বাড়ছে।

সেখানে দায়িত্বরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টার সালেকুজ্জামান খান জানান, ঢাকা-উত্তরাঞ্চলগামী যানবাহনের হঠাৎ চাপ বেড়েছে। আবার কড্ডার মোড়ে যত্রতত্র যাত্রী-উঠানামা করছে। মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে আমরা কাজ করছি।

বঙ্গবন্ধু সেতু রক্ষণাবেক্ষণ বিবিএর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, সেতুর পশ্চিমে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে যানজট নেই। কড্ডার মোড়ে যত্রতত্র যাত্রী-উঠানামা ও চালকদের হুড়োহুড়ির কারণে যানজট সৃষ্টি হলে সেখানকার ট্রাফিক পুলিশ বিষয়টি দেখবে।

বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়ক দিয়ে দেশের উত্তর ও দক্ষিণের ২২ জেলার মানুষ চলাচল করে। সাধারণ সময় এই মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ১৭-১৮ হাজার যানবাহন চলাচল করলেও ঈদের সময় তা ৩৫-৪৫ হাজার ছাড়ায়। অতিরিক্ত যানবাহন চলাচলের কারণে প্রতি বছরই এই মহাসড়কে যানজট হয়। তবে গত ঈদুল ফিতরে তেমন যানজট সৃষ্টি হয়নি।

leave a reply