পটুয়াখালীর বাউফলের সূর্যমণি ইউনিয়নের পূর্ব ইন্দ্রকুল চৌমুহনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান চলছে একটি দোকানের ছাদে। স্থানীয় প্রভাবশালীরা দীর্ঘদিন থেকে ওই বিদ্যালয়ের জমি দখল করে রাখায় নতুন ভবন নির্মাণ করা যাচ্ছে না। ফলে বিপাকে পড়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় ২ বছর আগে ওই বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। নিলাম প্রক্রিয়া শেষে পুরাতন ভবন অপসারণ করার পর স্থানীয় যুবলীগ নেতা জাকির মৃধা ও বিজিবি সদস্য মনির হোসেনসহ একাধিক প্রভাবশালী বিদ্যালয়ের জমি দখল করে নেন। এরপর দীর্ঘদিন খোলা আকাশের নীচে পড়ে থাকে বিদ্যালয়ের বেঞ্চ চেয়ারসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র। করোনা মহামারীর কারণে টানা দেড় বছর বন্ধ থাকার পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুনরায় চালু হলে বিপাকে পড়েন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এরপর সূর্যমণি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বাচ্চুর মালিকানাধীন একটি দোকানের ছাদে টিনশেড ঘর বানিয়ে সেখানে পাঠদান করা হচ্ছে।
সূর্যমণি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বাচ্চু বলেন, বিদ্যালয়ের জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। দোকানের জন্য তৈরি ঘরটি এখন বিদ্যালয়ের ব্যবহারের জন্য দিয়েছি।
প্রধান শিক্ষক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, বিদ্যালয়ের জমি বেদখল হওয়ার পর কোন উপায় না পেয়ে দোকানের ছাদেই পাঠদান শুরু করতে হয়েছে।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সুলতান হাওলাদার বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসে বিদ্যালয়ের জমি চিহ্নিত করে গেছেন। কিন্তু বিজিবির সদস্য মনির উপড়ে ফেলেছেন সে চিহ্ন।
অভিযুক্ত বিজিব সদস্য মনির বলেন, আমি আমার কবলাকৃত ও পৈত্রিক সম্পত্তিতে বসবাস করছি। এখানে বিদ্যালয়ের জমি নেই।
যুবলীগ নেতা জাকির মৃধা বলেন, দীর্ঘদিন আমার পৈত্রিক সম্পত্তি বিদ্যালয়ের দখলে ছিল। এখন আমি আমার জমি দখলে নিয়েছি। এ বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।
উপজেলা শিক্ষাকর্মকর্তা দেবাশীষ ঘোষ বলেন, বিদ্যালয়ের জমি দখলমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত দোকানের ছাদেই পাঠদান করতে হবে।