‘কখনো বাগান, কখনো দিগন্ত কখনো শ্রাবণ, কখনো বসন্ত আমি সেই তোমাকেই খুঁজি, প্রকৃতি আজ দক্ষিণা দুয়ার খুলে দিয়েছে। সে দুয়ারে বইছে ফাগুনের হাওয়া। বসন্তের আগমনে কোকিল এভাবেই গাইছে গান। ভ্রমরও করছে খেলা। গাছে গাছে পলাশ আর শিমুলের মেলা।’
শীতের জীর্ণতা ঠেলে বাংলা প্রকৃতিতে আজ এসেছে বসন্ত। চারদিকে রঙ্গিন ফুলের সমারোহ। রঙিন আভা ছড়িয়েছে মতিহারের সবুজ প্রকৃতিতেও।বসন্ত উৎসব উপলক্ষে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন চত্বরে দিনভর সংগীত, নৃত্য পরিবেশন হচ্ছে।
মঙ্গলবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঋতুরাজ বসন্তকে বরণ করতে সকাল থেকেই শাড়ি, পাঞ্জাবি পরে ক্যাম্পাসে আসতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা, টুকিটাকি, ইবলিশ চত্বর, পরিবহন মার্কেট ও শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ।
বাসন্তী সাজে নানা বয়সী মানুষেরও যেন আজকের গন্তব্য ছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। লাল, হলুদ, বাসন্তীসহ নানা রঙের পাঞ্জাবি আর ফতুয়া পরেছেন ছেলেরা আর মেয়েরা এসেছেন লাল-হলুদ-বাসন্তী শাড়ি পড়ে, সঙ্গে খোঁপায় গাঁদা ফুল।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী অপি বলেন, ‘খুব ভালো লাগছে। আমি ছোটবেলা থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান খুব পছন্দ করি। পহেলা ফাল্গুন, পহেলা বৈশাখ এসব উৎসব আমাদের বাঙালি সংস্কৃতির অংশ। এসব উৎসব আমাদের সংস্কৃতির বহিঃপ্রকাশও বটে। এর মধ্য দিয়ে আমরা সবাই একত্র হওয়ার সুযোগ পাই।’