বরিশাল ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) দুটি সিটি কর্পোরেশনের ভোটাররা ভোট দিয়েছেন।
তবে এরমধ্যেও ঘটেছে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা।
বরিশালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমের ওপর হামলার ঘটনায় তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পুলিশ কমিশনার বরাবর অভিযোগ করেছেন। মহানগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ৮৭ নম্বর কেন্দ্র সাবেরা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনকালে তার ওপর হামলা হয়।
এছাড়া ফয়জুল করীমের গাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে। সকাল ১০টার দিকে নগরীর ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউনিয়া এ কাদের চৌধুরী স্কুল কেন্দ্রে তার গাড়িতে হামলা করে আওয়ামী লীগের কর্মীরা। এসময় ফয়জুল করীমের চার সমর্থক আহত হন।
এছাড়াও বরিশাল সিটি নির্বাচনে এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ করেছেন টেবিল ঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্রপ্রার্থী কামরুল আহসান রুপন।
অন্যদিকে, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডের ২৮৯টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৭৩২টি ভোটকক্ষে ভোট দেন ভোটাররা। ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৩৬ জন ও ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে নগরীর ১৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে দুই কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
খুলনায় নির্বাচনের পরিবেশ রক্ষায় টহল দেয় বিজিবির ১১ প্লাটুন সদস্য। নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্র ও নগরীর নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করেন পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসারসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৮ হাজার ৩০০ জন সদস্য। নির্বাচনী মাঠে দায়িত্ব পালন করেন ৪৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ১০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।
ভোটকেন্দ্রগুলোতে স্থাপন করা হয় ২ হাজার ৩০০টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। ইভিএম মেশিন ব্যবহার হচ্ছে প্রায় ৩ হাজার। পর্যবেক্ষক রয়েছেনব বেসরকারি দুটি সংস্থার ২০ জন ও নির্বাচন কমিশনের ১০ জন।