বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। সোমবার সকাল ৮টা থেকে ৩০টি ওয়ার্ডে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। ১২৬টি কেন্দ্রের ৮৯৪টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। এবার সবকটি কেন্দ্রেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা। প্রতিটি কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
এই সিটিতে মোট ভোটার দুই লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জন আর নারী ভোটার এক লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, প্রতিটি সাধারণ কেন্দ্রে ১৬ জন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। আর গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে ১৭ জন সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন।
পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ান আনসারের সমন্বয়ে ৩০টি মোবাইল ফোর্স, ১০টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, তিনটি রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্স, র্যাবের ১৬টি টিম এবং সাত প্লাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালন করছে। ৪৩ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হাকিম ও ১০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে রয়েছেন।
বরিশালে ৩০ ওয়ার্ডে প্রার্থী মোট ১৬৭ জন। এরমধ্যে মেয়র পদে সাত জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৪২ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১৮ জন প্রার্থী রয়েছেন।
বরিশাল সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, সকাল ৮টা থেকে একযোগে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। তবে শেষ সময়ে যারা কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করবেন, অতিরিক্ত সময় লাগলেও তাদের ভোটও নেয়া হবে।
বরিশালে ৩৭৮টি সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে ঢাকায় বসে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন নির্বাচন কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমকর্মীরা।
নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা ও মো. আলমগীর নির্বাচন ভবনের বেজমেন্টে স্থাপিত সিসিটিভি মনিটরিং কন্ট্রোল রুম থেকে সরাসরি ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করছেন।
সিসিটিভি ক্যামেরায় কোনও অনিয়ম দেখা গেলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।