বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় সম্প্রীতির বন্ধন অটুট থাকবে: মাহমুদা কৃক

বাংলাদেশের মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন সাধারণ মানুষের মুক্তি ও অধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় কাজ করে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সৌহার্দপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রেখেই আমাদের সকলের একসাথে পথ চলতে হবে এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে হবে।

বৃহস্পতিবার ফরিদপুরের বোয়ালমারি উপজেলার ময়না ইউনিয়নের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহা নামযজ্ঞ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা কৃক।

মহিলা লীগের এই নেত্রী বলেন, দেশ আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দূর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে হলে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। পুনরায় নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগের বিজয় সুনিশ্চিত করতে হবে। তাহলেই শেখ হাসিনার চলমান এই উন্নয়ন ধারা অব্যাহত থাকবে। সবাইকে এই উন্নয়নের জন্য অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, যে বিশ্বব্যাংক আমাদের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন, পদ্মা সেতু নির্মাণে দুর্নীতির দোহাই দিয়ে বিএনপি জামাত এবং কথিত শান্তির দূত ইউনুসের ষড়যন্ত্রের কারণে অর্থ সহায়তায় অনিহা দেখিয়েছিল, অর্থনৈতিক সাহায্য দেয়া থেকে পিছিয়ে গিয়েছিল। শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে তাদের জানিয়ে দিলেন বাংলাদেশ কোন দুর্নীতির সাথে যুক্ত ছিলনা। সেই বিশ্বব্যাংকের প্রধানকে পদ্মা সেতুর ছবি উপহার দিয়ে প্রমাণ করলেন আমরা আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ। কোন ষড়যন্ত্র ও বাধা বাংলাদেশের উন্নয়ন রুখতে পারবে না। বাংলাদেশ তার আপন মহিমায় মহিমান্বিত হয়ে মাথা তুলে দাঁড়াবে।

মাহমুদা কৃক আরও বলেন, সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। দেশি ও আন্তর্জাতিক নানা ষড়যন্ত্র ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। দেশের একটা বিশেষ শ্রেণি দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য, এই সরকারকে উৎখাত করার জন্য বিদেশিদের কাছে নালিশ করতে শুরু করেছে, যা অপ্রত্যাশিত। তারা এদেশের উন্নয়ন মেনে নিতে পারেনা, উন্নয়ন চায়না, যারা এদেশের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব মেনে নিতে পারেনা। এই কুচক্রী মহল, স্বাধীনতা বিরোধীদের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের বিরুদ্ধে আমাদের সকলের সজাগ থাকতে হবে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সমাজের গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নেতা, ভাতৃপ্রতীম ছাত্র সংগঠন ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

এরপর বৃহস্পতিবার রাতে সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর অসুস্থ মধুখালি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিকুর রহমান চৌধুরীকে দেখতে ফরিদপুর সদর হাসপাতালে যান কৃক। তিনি ইউএনও’র চিকিৎসার সার্বিক খোঁজ খবর নেন এবং সুস্থতা কামনা করেন। এসময় ফরিদপুর জেলার পুলিশ সুপার মো: শাহজাহান উপস্থিত ছিলেন।

leave a reply