ফ্রিল্যান্সারদের বিদেশি আয়ের বিপরীতে ১০ শতাংশ উৎসে কর কর্তন প্রযোজ্য নয় বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকও কোনও নির্দেশনা দেয়নি বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হলে বিষয়টি নিয়ে শনিবার ব্যাখা দিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর বলেছে, গত বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়। সেখানে আয়কর আইন অনুযায়ী, সেবা চার্জ বা রেভিনিউ শেয়ারিং থেকে পাওয়া রেমিট্যান্সের অর্থের ওপর উৎসে কর কর্তনের কথা বলা হয়েছে। ফ্রিল্যান্সারদের আয়ের কথা বলা হয়নি। এখানে সেবা খাত বলতে বিদেশি পণ্য পরিবহন করে বাংলাদেশের শিপিং লাইন থেকে অর্জিত আয় ও ইনডেন্টিং ব্যবসার আয়কে বোঝানো হয়েছে। কোনও অবস্থাতেই ফ্রিল্যান্সারদের রেমিট্যান্সের ওপর কর আরোপ করা হয়নি।
এর আগে গত বুধবার আয়কর আইন, ২০২৩ এর ১২৪ ধারা অনুযায়ী সেবা, রেভিনিউ শেয়ারিং বাবদ পাওয়া রেমিট্যান্সের ওপর উৎসে কর আদায় করতে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে নিয়জিত অনুমোদিত ডিলার ব্যাংককে নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। জাতীয় রাজস্ব আহরণের স্বার্থে নির্দেশনাটি যথাযথভাবে পরিপালন করতে বলা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ নির্দেশনা চেয়ে গত ১২ সেপ্টেম্বর কর কমিশনারের কার্যালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। ওই চিঠিতে বলা হয়, বিদেশে থেকে পাঠানো অর্থ ব্যক্তির হিসাবে পরিশোধ করার আগে জমাকৃত অর্থের ও ১০ শতাংশ হারে উৎসে কর কেটে নেওয়ার বিধান করা হয়েছে। কর বাবদ কেটে নেওয়া অর্থ ব্যাংক ঢাকার কর অঞ্চল-১১ এর অনুকূলে নিয়ম অনুযায়ী জমা দেবে।
এনবিআর সূত্র আরও জানিয়েছে, নতুন আয়কর আইনেও ফ্রিল্যান্সারদের আয় করমুক্ত রাখা হয়েছে। ফলে ফ্রিল্যান্সারদের টাকা দেশে রেমিট্যান্স আকারে এলেও কোনও কর দিতে হবে না। তবে বিদেশ থেকে আসা কোনও সেবা, রেভিনিউ শেয়ারিং ইত্যাদি বিদেশ হতে আয় হিসেবে আসা রেমিট্যান্স থেকে উৎসে কর কর্তন করা হবে।