বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশনা উপেক্ষা করে আবারও পরিচালক পদে জুনিয়র শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাসিবুর রশীদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী পরিচালকের পদগুলোতে ন্যূনতম সহযোগী অধ্যাপক পদমর্যাদার শিক্ষককে নিয়োগের নিয়ম থাকলেও ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক হিসেবে ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ারুল আজিমকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তার নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। নিয়োগপত্র অনুযায়ী এই নিয়োগ গত ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর আইন-২০০৯ এর ৩৯(২) ধারার সংবিধির ধারা-১৫ অনুযায়ী বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালক ভাইস-চ্যান্সেলরের সুপারিশক্রমে শিক্ষা প্রশাসনে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ন্যূনতম সহযোগী অধ্যাপক পদমর্যাদার শিক্ষকদের মধ্য থেকে দুই বছরের জন্য নিয়োগ দিতে হবে। কিন্তু আইনের তোয়াক্কা না করে এর আগে রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ নুরুজ্জামান খানকে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক এবং লোকপ্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাব্বীর আহমেদ চৌধুরীকে বহিরাঙ্গন কার্যক্রমের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
তাদের মধ্যে নুরুজ্জামান খান উচ্চ শিক্ষার্থে ছুটি নিয়ে দেশের বাইরে গেলে আবারও ছাত্র পরামর্শ দপ্তরের পরিচালক পদে একজন জুনিয়র শিক্ষককে নিয়োগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হাসিবুর রশীদ। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ১৯ জন অধ্যাপক ও ৬২ জন সহযোগী অধ্যাপক কর্মরত আছেন।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, পূর্ববর্তী উপাচার্যগণের দায়িত্বকালে অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপকের সংখ্যা কম থাকায় দু-একটি পরিচালক পদে সহকারী অধ্যাপকগণের মধ্যে কাউকে পরিচালক কিংবা সমপদে নিয়োগ দিয়ে কাজ চালানো হতো। কিন্তু বিশববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৫ বছরে পর্যাপ্ত যোগ্য শিক্ষক থাকার পরেও বর্তমান উপাচার্য আইন ভঙ্গ করে অনুগত জুনিয়র শিক্ষকদের এসব পদে নিয়োগ দিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমান উপাচার্য যোগদানের পর ২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর ছাত্র পরামর্শ দপ্তরে রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ নুরুজ্জামান খানকে এবং ২৮ সেপ্টেম্বর লোকপ্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাব্বীর আহমেদ চৌধুরীকে বহিরাঙ্গণ কার্যক্রমের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে ইউজিসি থেকে আইন অনুযায়ী পরিচালক পদসমূহে নিয়োগের নির্দেশনা দেয়া হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আইন অনুযায়ী এসব পদে সহযোগী অধ্যাপক পদমর্যাদার শিক্ষককে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী আলমগীর চৌধুরী বলেন, এসব পদে নিয়োগের নির্দেশনার বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। বিশববিদ্যালয় প্রশাসন চেয়েছে তাই তাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে।