দেশে রেমিটেন্স পাঠানোর ক্ষেত্রে নারীরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। তারা ছোট ছোট উদ্যোগের মাধ্যমে দূর প্রবাসে এসেও দেশের অর্থনীতিকে সমৃ্দ্ধ করছেন। এজন্য তাদেরকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে হবে। গত ২৯ অক্টোবর শারজায় ‘বাংলাদেশি নারী উদ্যোক্তা ফোরাম’ আয়োজিত দিনব্যাপী পণ্যমেলার উদ্বোধন করে এসব মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ উইমেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবেদা বুশরা।
বুশরা আরও বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ব্যবসা বাণিজ্য করে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছেন বাংলাদেশি নারীরা। পণ্যমেলার আয়োজন নিয়মিত করতে পারলে অন্য নারীরাও ব্যবসা করতে আগ্রহী হবেন।
বাংলাদেশ সমিতির বঙ্গবন্ধু হলরুমে দিনব্যাপী এই পণ্যমেলায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি ১৬টি প্রতিষ্ঠানের স্টল ছিল। এসব স্টলে বাংলাদেশি পোশাক, পাটজাত পণ্য, জুতা, ব্যাগ, খাবার, মসলা, প্রসাধনী, পাহাড়িদের তৈরি বস্ত্রসহ নানা রকম পণ্য ছিল। মেলা উপলক্ষে বিশেষ ছাড়ে এসব পণ্য বিক্রি করে প্রতিষ্ঠানগুলো৷
এসময় নারী উদ্যোক্তা সুলতানা বিলকিস বলেন, ‘আমিরাতে আইন মেনে যেকোনো ব্যবসা করা নিরাপদ। লাইসেন্স নিয়ে আমরা ঘরে বসে ব্যবসা করছি। পরিশ্রম ও সততা নিয়ে অনেকেই এখানে সফল হচ্ছেন৷ সকলের কাছে আমাদের পরিচিতি পৌঁছে দেয়ার জন্য এই আয়োজন।’
প্রবাসে কীভাবে নারী উদ্যোক্তারা সাফল্য পাচ্ছেন এবং অনলাইন ও অফলাইনে ব্যবসা পরিচালনা করছেন এসব অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরা হয় মেলায়৷
নারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে মেলায় অংশ নেন নিশা মোহাম্মদ, কামরুন্নেছা, নাজমা সুলতানা, রোকসানা মজুমদার, দুলালী হোসেন, নাজমান নাহার বুবলী, আবাদা বুশরা, সাদিয়া হায়দার, সাবেরা সনি কোরাইশি, নাসরীন সুলতানা, তানিয়া সালাহউদ্দিন, নাসরীন আক্তার, ফেরদৌসী আক্তার, সুলতানা বিলকিস, রাবেয়া বাসরী এবং ফাতেমা জাহান।
নারী উদ্যোক্তারা বলেন, সময়ের সাথে সাথে সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিভিন্ন রকম ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়ছে। করোনার ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছেন এখানকার প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসীরা। যদিও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব পড়ছে তাদের ব্যবসায়।
আরব আমিরাতে পুরুষের পাশাপাশি নারীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও বেড়েছে। প্রবাসী নারীদের উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করতে বাংলাদেশি নারী উদ্যোক্তা ফোরাম কাজ করছে বলেও জানান তারা।