প্রধান বিচারপতির সাথে সাক্ষাৎ শেষে যা জানাল নির্বাচন কমিশন

The CEC sought the cooperation of the Chief Justice in the parliamentary elections

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা (বিচারকরা) যেন দায়িত্ব পালন করেন সে বিষয়ে প্রধান বিচারপতির সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। বুধবার (১ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বৈঠক শেষে সিইসি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, বিচারকরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রোরাল ইনকোয়ারি কমিটির দায়িত্ব পালন করে থাকেন। কিন্তু এবার নির্বাচন চলাকালীন (ডিসেম্বর মাস) সিভিল কোর্টের বিচারকরা ভ্যাকেশনে থাকবেন। তাই প্রধান বিচারপতিকে জানিয়ে রেখেছি যেন ওই সময়ে বিচারকরা দায়িত্ব চলমান রাখেন। আর জানুয়ারি মাসে তো বিচারকরা আগের মতো করেই দায়িত্ব পালন করবেন। এইটুকু আলোচনা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি সিইসিকে আশ্বস্ত করেছেন বলে জানা গেছে।

এর আগে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা বিষয়ে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সঙ্গে বৈঠকে করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ও ইসির চার কমিশনার সুপ্রিম কোর্টে আসেন। বিকেল ২টা ৫৫ মিনিট থেকে পৌনে ৪টা পর্যন্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান বিচারপতির খাস কামরায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

২০১৮ সালের ২৯ জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন বসেছিল। সে হিসেবে আগামী ২৮ জানুয়ারি চলতি সংসদের মেয়াদ শেষ হবে। সাংবিধানিক বিধান মতে সংসদের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার সাপেক্ষে পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই হিসেবে ৩১ অক্টোবর থেকে ২৮ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানিয়েছেন, নভেম্বরের প্রথমার্ধে সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। আর ডিসেম্বরের শেষ থেকে জানুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।