পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও রোবটিক্স নিয়ে গবেষণার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং রোবটিক্স ল্যাবের উদ্বোধন করা হয়েছে।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে এই ল্যাবের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন।
এ উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যালারি-২ এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন, বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ্ উদ্দিন, প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. দিলীপ কুমার সরকার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, এটা আমাদের বিজয়ের দিন। আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে আমরা পাবিপ্রবিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং রোবোটিক্স ল্যাব যুক্ত করতে পেরেছি। শিক্ষার্থীরা এই ল্যাব থেকে রোবটিক্সের কাজ শিখবে, নতুন জিনিসের উদ্ভাবন করবে। আমাদের শিক্ষার্থীদের তৈরি করা প্রযুক্তি দেশের মানুষ ব্যবহার করবে। তোমাদের তৈরি করা প্রযুক্তি আমরা ব্যবহার করবো। আর এভাবে আমরা আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পথে এগিয়ে যাবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ্ উদ্দিন বলেন, রোবটিক্স ও কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার এই ল্যাব স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। দক্ষ মানব সম্পদ গঠনে প্রযুক্তির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তোমাদের প্রযুক্তিতে ভালো দক্ষতা থাকতে হবে। তোমরা এগিয়ে গেলে আমাদের দেশ এগিয়ে যাবে। আশা করি বাংলাদেশ তথ্য প্রযুক্তি খাত রপ্তানি উপযোগী খাতে রুপান্তিত হবে। সেখানে তোমরা নেতৃত্ব দিবে। কীভাবে তোমাদের নতুন নতুন চিন্তা গুলো রোবটের মাঝে ইনপুট দিয়ে প্রযুক্তিতে পরিবর্তন আনা যায় তা নিয়ে কাজ করতে হবে। প্রযুক্তি যাতে আমাদের জন্য আশীর্বাদ হয় সে কাজ তোমাদের করতে হবে। প্রযুক্তিনির্ভর আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ তোমাদের হাত ধরে সৃষ্টি হবে।
কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আব্দুর রহিমের সভাপতিত্বে এবং বিভাগের প্রভাষক নিতুন কুমার পোদ্দারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ, বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. মো. খায়রুল আলম, মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুল্লাহ, প্রক্টর ড. কামাল হোসেন, ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. নাজমুল হোসেনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা।