পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে “গুণগত ও মানসম্পন্ন শুটকি এবং মাছের পাউডারের মাধ্যমে গর্ভবতী, দুগ্ধদানকারী নারী ও শিশুদের পুষ্টি নিশ্চিতকরণ এবং উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন” শীর্ষক প্রকল্পের সমাপনী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি সেমিনার কক্ষে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগ এই আয়োজন করে। বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির অর্থায়নে এটি পরিচালনা করা হয়।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ সাজেদুল হক। তিনি বিভিন্ন তথ্য ও চিত্র উপস্থাপনের মাধ্যমে উপকূলীয় এলাকার শুটকি উৎপাদনকারীদের কৌশলগত জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা, নারীদের খাবারের বৈচিত্রতা, নারী ও শিশুদের পুষ্টিমান এর বর্তমান অবস্থা এবং মাছের পাউডার খাওয়ানোর পরবর্তী ফলাফল তুলে ধরেন। এই প্রকল্পে কীভাবে স্বল্প খরচে উন্নত পদ্ধতিতে গুনগত শুটকী মাছ ও মাছের পাউডার তৈরির প্রশিক্ষণ প্রদান ও দক্ষতা বৃদ্ধি করা যায়, উপকূলীয় অঞ্চলের নারী ও শিশুদের উপর মাছের পাউডার খাওয়ার প্রভাব পর্যবেক্ষণ এবং গবেষণাগারের আধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে পুষ্টি গুণাগুণ পরিমাপের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা যায় তা তুলে ধরা হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত, বিশেষ অতিথি ছিলেন পবিপ্রবি’র রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. ফজলুল হক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, পরিচালকবৃন্দ এবং মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ও ব্যবসায় প্রসাশন অনুষদের শিক্ষক ও স্নাতকোত্তর অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরাসহ বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির কারিগরি বিশেষজ্ঞ, প্রকল্পের গবেষণা টিমের পুষ্টিবিদ এবং ডাক্তাররা।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি বলেন, “এই প্রকল্পের মাধ্যমে অত্র এলাকা তথা উপকূলীয় অঞ্চলের শুটকী উৎপাদনকারীরা প্রশিক্ষণ পেয়ে নিরাপদ ও উন্নত পুষ্টি গুণসম্পন্ন শুটকি উৎপাদন করে তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন করতে সক্ষম হবে এবং মাছের পাউডারের মাধ্যমে মা ও শিশুদের পুষ্টি চাহিদা পূরণ হবে। “
