সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকার কোনও চাপের কাছে নতিস্বীকার করেনি, করবেও না। বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রোড সেফটি প্রজেক্টের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে বিদেশি চাপ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশ কোনও দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেনি। অন্যদেশেরও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ যুক্তিযুক্ত মনে করি না। বেগম খালেদা জিয়ার বিষয়টি আমাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বেগম জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে যতটা না তারা উদ্বেগ করেছে, তাকে নিয়ে রাজনীতির চর্চা করেছে বেশি হচ্ছে। যখন বেগম খালেদা জিয়ার বিচার চলছিল তখন অহেতুক অনুপস্থিত থেকে বিচারকে বিলম্বিত করতে চেযেছে। এমন কোনও আইনি লড়াই করতে পারেনি, আন্দোলন করতে পারেনি যেটা চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র নিয়ে বলেন, সেখানে ছয় জানুয়ারি গণতন্ত্রের নামে কি হলো? ছয়টি প্রাণ গেল। ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো নির্বাচনে পরাজয় মেনে নেননি।
সবাই মুখে যে গণতন্ত্রের কথা বলছে, বাস্তবে গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রুপ খুজে পাওয়া দুষ্কর। কিছু না কিছু ত্রুটি আছে। আমাদের গণতন্ত্রও সম্পূর্ণ ত্রুটিমুক্ত বলছি না। ত্রুটিমুক্ত করার চেষ্টা করছি। নির্বাচন কমিশনকে আইন করে স্বাধীন করা হয়েছে।
বিএনপিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনি কতটা জনপ্রিয় প্রমাণ করতে হলে নির্বাচনে আসতে হবে।
আওয়ামী লীগ বেগম জিয়াকে জেলে রেখেছে, তত্ত্বাবধায়ক বাদ দিয়েছে- বিএনপির দুটি অভিযোগই মিথ্যা। মির্জা ফখরুল নিজে ব্যর্থ। সবার আগে বিএনপি নেতৃত্বের টপ টু বটম পদত্যাগ করা দরকার। দৃশ্যমান কোনও আন্দোলন তারা করতে পারেনি। বিএনপির ভিতরে গণতন্ত্রের চর্চা নেই, তারা দেশের গণতন্ত্র আনবে কীভাবে।
জামায়াতে ইসলাম সম্পর্কে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিষয়টি উচ্চ আদালতে আছে, চূড়ান্ত রায় আসেনি। সরকার সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারে না। দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার দাবি আছে। দলটির নিবন্ধন বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন।
এ সময় জাতিসংঘে মানবাধিকার কমিশনের টিঠি সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, আমরা কি জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের কথা ও প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী চলি?
এর আগে রোড সেফটি অনুষ্ঠানের বক্তব্যে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংক ইচ্ছা করলে পদ্মা সেতুর কাজটি হাতে নিতে পারতো। এখানে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। একটা ষড়যন্ত্র ছিল। এর সঙ্গে বাঘা বাঘা কিছু ব্যক্তি জড়িত ছিল।
সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে নিজের অস্বস্তির কথা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এত উন্নয়নের পরও সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে পারছি না- এটা আজকে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশের সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন। পরে সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে প্যানেল আলোচনা করেন পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি অপরাধ ও অপারেশন আতিকুল ইসলাম, বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের রোড সেফটি প্রজেক্টের সিনিয়র ট্রান্সপোর্ট স্পেশালিস্ট দীপন বোস।
এছাড়া সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরীর সভাপতিত্বে রোড সেফটি নিয়ে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান, বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ট্রান্সপোর্ট প্রাকটিস ম্যানেজার ফেই ডেং, বাংলাদেশ ও ভারতের কান্ট্রি ডিরেক্টর আব্দুলায়ে সেক, বিশ্বব্যাংকের ইনফ্রাস্ট্রাকচার ভাইস প্রেসিডেন্ট গুয়ানজে চেন।
বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারে যৌথ অর্থায়নে প্রকল্পটিতে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা।
Wow, fantastic blog structure! How lengthy have you ever been running a blog
for? you made running a blog look easy. The full look of your web site is wonderful, as well as the content material!
You can see similar here sklep internetowy