জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়াসহ নানা ধরনের প্রভাব পড়েছে বিশ্বজুড়ে। কয়েক দিন ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দাবদাহ চলছে। আবার কিছু দেশে টানা বৃষ্টিতে বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটছে। এতে লাখ লাখ মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
প্রচণ্ড গরমের কারণে বিপর্যস্ত অবস্থায় দিন কাটিয়েছে এশিয়া, ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর, চলতি সপ্তাহে এসব অঞ্চলে তাপমাত্রা আরো বাড়তে পারে। উচ্চ তাপমাত্রার কারণে জাপানের ৪৭টি প্রদেশের মধ্যে ২০টিতে ‘হিট স্ট্রোক’ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দেশটির জাতীয় সম্প্রচারমাধ্যম এনএইচকের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানী টোকিওসহ আরও কিছু এলাকায় প্রায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আবার কিছু কিছু জায়গায় চার দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
২০১৮ সালে জাপানের কুমাগায়া শহরে ৪১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। এটি ছিল জাপানের এ যাবৎকালের সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা। তবে দেশটির আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এবারের তাপমাত্রা ওই রেকর্ডকেও ছাপিয়ে যেতে পারে।
দাবদাহের তীব্রতা বাড়ার আভাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া বিভাগও। সংস্থাটি জানায়, দেশটির দক্ষিণাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো সবচেয়ে বেশি জটিলতার মুখে পড়ছে। ক্যালিফোর্নিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের অনেক জায়গায় দাবানল দেখা দিয়েছে। এসব এলাকার বাসিন্দাদের দ্রুত নিরাপদে সরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রিভারসাইড কাউন্টিতে দাবানলে সাড়ে সাত হাজার একরের বেশি এলাকা পুড়ে গেছে।
একই অবস্থা ইউরোপের আরেক দেশ ইতালির। দেশটির বাসিন্দাদের গ্রীষ্মকালীন প্রচণ্ড দাবদাহের মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। দেশটিতে আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে বলে আভাস দেওয়া হয়েছে। রোম, বোলোগনা, ফ্লোরেন্সসহ ১৬টি শহরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।