তারেক রহমানকে দেশে ফিরে আইনের মোকাবিলা করার আহ্বান নানকের

এ দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার চেয়েছিলন তখন খালেদা জিয়া বলেছিলেন এ দেশে শিশু ও পাগল ছাড়া আর কেউ নিরপেক্ষ নয়। তাই মির্জা ফখরুল সাহেব হয়তো শিশু নয়তো পাগল। সেই কারণে আপনারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার চান।

শনিবার বিকেলে উত্তরায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগ এই সভার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন নানক।

নানক বলেন, বিএনপি যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করে সেটি জাদুঘরে রাখা হয়েছে। এ দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর হবে না।

নানক আরো বলেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে কারাগারে ছিলেন। মানবিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তার কারাভোগ স্থগিত রেখে নিজ বাসায় থাকার সুযোগ করে দেন। কিন্তু তার ছেলে হাওয়া ভবনের মালিক, তারেক রহমান দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

তারেক রহমানকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম মেম্বার বলেন, সাহস থাকলে দেশে ফিরে এসে আইনের মোকাবিলা করুন। ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা ও একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলার দায়ে সেই কুখ্যাত তারেক রহমানকে এ দেশের মানুষ গ্রহণ করবে না।

বিএনপির-জামায়াত এখনো ওঁত পেতে আছে উল্লেখ করে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ২০১৪ সালে শেখ হাসিনার সরকারকে ব্যর্থ করতে তারা সারা দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে। দেশে নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে। কিন্তু বাংলার জনগণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ ছিল বলেই আওয়ামী লীগের উৎখাত করা যায়নি।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলার জনগণ যখন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা স্বপ্ন দেখে, তখন সেই অপশক্তি বিএনপি-জামায়াত বারবার ষড়যন্ত্র করছে। জিয়াউর রহমান ও এরশাদ এ দেশে সাম্প্রদায়িক শক্তির বীজ বপন করেছিল। খালেদা জিয়া কৌশলে ক্ষমতায় বসার পরে তার ছেলে তারেক রহমান হাওয়া ভবনে বসে প্রগতিশীল আওয়ামী লীগকে চূড়ান্তভাবে শেষ করার জন্য নীল নকশা তৈরি করে। তাই ২১ আগস্ট নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল। সেই গ্রেনেডে আওয়ামী লীগের ১৪ নেতাকর্মী মৃত্যুবরণ করেছে। যারা বেঁচে আছে তারা এখন গ্রেনেডের ক্ষত নিয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছে।

ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভার সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন। এ সময় আরও বত্তব্য দেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় এমপি হাবিব হাসান। সভায় মহানগরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য দেন।

leave a reply