জাবির ২৯৪ কোটির বাজেটে গবেষণা-চিকিৎসায় বরাদ্দ বেড়েছে


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২৯৪ কোটি ১৬ লাখ টাকার বাজেট পাশ করা হয়েছে। নতুন বাজেটে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বাবদ সর্বোচ্চ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যা মূল বাজেটের ৫৯.৫৯ শতাংশ।

শনিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সিনেট হলে বার্ষিক সিনেট অধিবেশনে বাজেট পাশ করা হয়। অধিবেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার বাজেট উত্থাপন করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯৪ কোটি ১৬ লাখ টাকার বাজেট বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ২৭১ কোটি ৮১ লাখ টাকা অনুদান দেবে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় থেকে ২২ কোটি টাকা ৩৫ লাখ টাকা যোগান আসবে।

অধিবেশনে ২০২২-২৩ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটও পেশ করা হয়। সংশোধিত বাজেটের পরিমাণ দুইশ ৮৭ কোটি এক লাখ টাকা। সংশোধিত বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ সাত কোটি ৮৮ লাখ টাকা।

বাজেট পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে চিকিৎসা খাতে বাজেট ধরা হয়েছে দুই কোটি ৮৯ লাখ ২৬ হাজার টাকা। যা মোট বাজেটের ০.৯৮ শতাংশ। এছাড়া গবেষণা খাতে বরাদ্দ করা হয়েছে পাঁচ কোটি ৫২ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের ১.৮৮ শতাংশ। এ দুই খাতে গতবছর বরাদ্দ ছিল দুই কোটি ৭৪ লাখ ১১ হাজার এবং চার কোটি ৪২ লাখ টাকা। নতুন বাজেটে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৭৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

পেনশন ও অবসরকালীন সুবিধা বাবদ বরাদ্দ ৪২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের ১৪.৩৯ শতাংশ। পণ্য ও সেবা (সাধারণ আনুষাঙ্গিক) ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৬ কোটি পাঁচ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের ১৯.০৫ শতাংশ। পণ্য ও সেবা (রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত) ব্যয় ধরা হয়েছে চার কোটি ২৬ লাখ টাকা। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সহায়তা বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪২ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের ০.১৪ শতাংশ।

এছাড়া যন্ত্রপাতি খাতের ব্যয় বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে তিন কোটি ৫৬ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের ১.২১ শতাংশ। যানবাহন ক্রয় বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে এক কোটি ৫০ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের ০.৫১ শতাংশ৷ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫৫ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের ০.১৯ শতাংশ। অন্যান্য ও মূলধন জাতীয় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের ০.১৭ শতাংশ। অন্যান্য ব্যয় বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে চার কোটি ১৮ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের ১.৪২ শতাংশ৷

সিনেট অধিবেশনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার, রেজিস্ট্রার (চুক্তিভিত্তিক) রহিমা কানিজ, সিন্ডিকেট সদস্য ও রেজিস্ট্রার গ্রাজুয়েট প্রতিনিধিরা।

leave a reply