মঙ্গল শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রকাশনা প্রদর্শনীসহ নানা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন করা হয়েছে।
শুক্রবার পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে ভিক্টোরিয়া পার্ক ঘুরে পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিরে আসে। এতে নেতৃত্ব দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক।
এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যেকোনো সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে রুখে দিতে সার্বক্ষণিকভাবে আমাদের সজাগ থাকতে হবে, আমরা শান্তি ও সম্প্রীতি চাই। আমাদের বিভিন্ন বিষয়ে ভিন্নমত থাকতে পারে তবুও আমাদের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় এগিয়ে যেতে হবে।’
এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার মূল প্রতিপাদ্য ‘শান্তি ও সম্প্রীতি’। শোভাযাত্রায় শান্তির প্রতীক হিসেবে কবুতরের প্রতিকৃতি তুলে ধরা হয়, এছাড়াও বড় আকারের লক্ষীপ্যাঁচা, ফুল, মৌমাছি, পাতার প্রতিকৃতি স্থান পায়।
শোভাযাত্রায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, রেজিস্ট্রার, বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালক, প্রক্টর, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও সাংবাদিক সংগঠনগুলো অংশগ্রহণ করেন। শোভাযাত্রা শেষে সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল সংগীত বিভাগের পরিবেশনায় দলীয় ও লোক সংগীত। এছাড়াও নাট্যকলা বিভাগের আয়োজনে বাঙালি ঐতিহ্যের অন্যতম নিদর্শন লাঠিখেলার আয়োজন ছিল।
এসময় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারিসহ সকলে মিলে এসব আয়োজন উপভোগ করেন।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন গ্রন্থ, জার্নাল, সাময়িকী, বার্তাসহ শিক্ষকদের প্রকাশিত গ্রন্থ স্থান পায়।
