চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রসহ মধুমতি সমাজ উন্নয়ন সংস্থা’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ রানাকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহষ্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গোমস্তাপুর-চৌডালা সেতুর টোলঘরের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। এসময় তার দেহ তল্লাশী করে একটি বিদেশি পিস্তুল, ৪ রাউন্ড গুলি, ১টি ম্যাগজিন উদ্ধার করে গোমস্তাপুর থানা পুলিশের একটি দল। তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও পুলিশ জব্দ করেছে। আটককৃত মাসুদ শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট ইউনিয়নের শিবনারায়ণপুর গ্রামের মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে।
পুলিশ জানায়, মাসুদ অবৈধ অস্ত্র নিয়ে যাচ্ছে এমন গোপন সংবাদ পেয়ে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চৌডালা সেতুর টোলঘরের সামনে গোমস্তাপুর থানার এস আই অমিত দেবনাথসহ পুলিশের একটি দল অবস্থান নেয়। সে সময় মাসুদ একটি মোটরসাইকেলে চড়ে ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন। পুলিশ তার গতিরোধ করে মাসুদের দেহ তল্লাশী করে একটি বিদেশি পিস্তুল, ৪ রাউন্ড গুলি, ১টি ম্যাগজিন পায়। পরে তাকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় গোমস্তাপুর থানায় অস্ত্র আইনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিকেলে তাকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, মাসুদকে আটকের খবর ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে জেলাজুড়ে চাঞ্চল্য শুরু হয়। বিশেষ করে মধুমতি এনজিওতে জমা রাখা টাকা তুলে নিতে বিভিন্ন শাখায় গ্রাহকদের ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। তাকে আটকের পর অনেক শাখার কর্মচারীরা অফিস বন্ধ করে গা ঢাকা দিয়েছে।
সম্প্রতি মধুমতি এনজিও’র কয়েকটি শাখার ব্যবস্থাপক ও কর্মচারীরা প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে এবং গত দুই সপ্তাহ ধরে গ্রাহকরা বিভিন্ন অফিসে টাকা উত্তোলনের জন্য গেলে বিভিন্ন কৌশলে তাদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
মধুমতি সমাজ উন্নয়ন সংস্থা নামে সমাজসেবা কার্যালয় থেকে অনুমোদন নিয়ে কার্যক্রম শুরু করে এ প্রতিষ্ঠানটি। এরপর থেকেই অবৈধভাবে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল তারা। আবার অনেকের কাছে উচ্চ সুদে আমানত সংগ্রহ করেছে। মধুমতির এমডিকে আটকের পর থেকে গ্রাহকরা তাদের আমানত নিয়ে শঙ্কায় আছেন।