সবশেষ মার্কিন নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কাছে হেরে ক্ষমতা হারান ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্টের পদ হারানোর পাশাপাশি নানা ঘটনায় আলোচিত-সমালোচিত হন তিনি। সব মিলিয়ে খুব একটা স্বস্তিতে নেই সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট। নির্বাচনে হস্তক্ষেপ, হোয়াইট হাউস ছাড়ার সময় গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র নিজের সাথে নিয়ে যাওয়াসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এবার ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে পরাজয়ের ফলাফল পাল্টে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে তাঁকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। আত্মসমর্পণ না করলে এ মামলায় গ্রেফতার করা হতে পারে ট্রাম্পকে।
আগামী বৃহস্পতিবার আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। সামাজিক যোগাযোগের নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে গতকাল ট্রাম্প লেখেন, ‘কট্টর বামপন্থী মনোভাবের ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি ফানি উইলিস’ ওই দিন তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারেন। নির্বাচনের ফলাফল বদলের দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে গত ১৪ আগস্ট জর্জিয়ার ফুলটন কাউন্টি গ্র্যান্ড জুরি ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগপত্র জারি করেন। এতে ট্রাম্প ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে ৪১টি ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ আনা হয়।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্প ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছিলেন ফুলটন কাউন্টি ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি ফানি উইলিস। এ নিয়ে চলতি বছর চতুর্থবারের মতো ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হলেন ট্রাম্প। তবে নিজের বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এই রিপাবলিকান।
আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির হয়ে লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। জর্জিয়ার আদালতের মামলাকে তাঁর নির্বাচনে অংশগ্রহণের পথে হস্তক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প। নির্বাচনের আগে ফৌজদারি মামলা তাঁর নতুন করে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথ কঠিন করে তুলতে পারে।