গরিবের প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে পদ হারালেন পিডি

প্রতিটি ফটোকপিয়ার মেশিনের নাম ৬০ হাজার টাকা হলেও কেনা হয়েছিল ১ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকায়। বাজারদরের চেয়ে আড়াই গুণ বেশি দামে ২২২টি ফটোকপি মেশিন কেনার মাধ্যমে ব্যাপক লুটপাটের অভিযোগ উঠে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) অধীন ‘পল্লী জীবিকায়ন প্রকল্প-৩ (পজীপ)’-এর প্রকল্প পরিচালক (পিডি) আলমগীর হোসেন আল নেওয়াজের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতে লঙ্ঘন করা হয় পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা (পিপিআর)।

এছাড়া দরপত্রে আরোপ করা হয় বিধিবহির্ভূত ও অবাস্তব শর্ত। প্রকল্পের কেনাকাটায় এমন অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ায় পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) অধীন ‘পল্লী জীবিকায়ন প্রকল্প-৩ (পজীপ)’-এর প্রকল্প পরিচালক (পিডি) আলমগীর হোসেন আল নেওয়াজকে। সেই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে দ্রুত বিভাগীয় মামলা করার নির্দেশ দিয়েছে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ।

জানা গেছে, গতকাল সোমবার এ সংক্রান্ত দুটি অফিস আদেশ জারি হয়েছে। কিছুদিন আগে বিষয়টি নিয়ে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন ছাপা হয়। মূলত এরপর থেকেই শুরু হয় বিভাগীয় তদন্তে তোড়জোড়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রকল্পের কেনাকাটায় এসব অনিয়ম মন্ত্রণালয়ের নজরে আনা হলে তা তদন্তের ভার পড়ে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ শরীফুল ইসলামের ওপর। তদন্ত শেষে তিনি যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন, তাতে ফটোকপি মেশিন কেনার প্রতিটি ধাপে গুরুতর অনিয়ম হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এর পরই আলমগীর হোসেন আল নেওয়াজকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

leave a reply