ইউরোপিয়ান ফুটবলে চলছে ছুটির মৌসুম। তবে মাঠের ব্যস্ততা না থাকলেও, গ্রীষ্মকালীন দলবদলকে কেন্দ্র করে সরগরম হয়েই থাকছে ফুটবলাঙ্গন। ফুটবলের সবচেয়ে বড় দলবদল মৌসুমও এটি। আগামী মৌসুমের জন্য দল গোছাতে ব্যস্ত প্রতিটি ক্লাব। আর দলবদলের মৌসুম আসলেই নানা সময়ে নানা জল্পনা-কল্পনা চলতেই থাকে। আর সেটি যদি হয় কোন তারকা খেলোয়াড়কে নিয়ে, তাহলে সেটিতে যোগ হয় ভিন্ন মাত্রা। তেমনটাই হচ্ছে ইংলিশ ফুটবলার হ্যারি কেইনকে নিয়ে।
মৌসুম শেষ হওয়ার আগে থেকে হ্যারি কেইনের দলবদল নিয়ে শুরু হয়েছিল নানা গুঞ্জন। প্রথমে রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পক্ষ থেকে কেইনকে নেওয়ার আগ্রহের কথা শোনা গেলেও পরে তাঁকে নেওয়ার দৌড়ে এগিয়ে যায় বায়ার্ন মিউনিখ। কেইনের জন্য ৭ কোটি ইউরোর প্রস্তাবও দিয়েছিলো জার্মান জায়ান্টরা। তবে এ দামে বনিবনা না হওয়ায় পরে অঙ্কটা আরও বাড়ায় মিউনিখের ক্লাবটি।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য টাইমস জানায়, কেইনের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিকভাবে আলাপও সেরে নিয়েছে বুন্দেসলিগার ক্লাবটি। তবে টটেনহাম এখনো কেইনকে রেখে দেওয়ার আশা ছাড়ছে না। টটেনহামের সাথে আগামী মৌসুম পর্যন্ত চুক্তি রয়েছে কেইনের। নতুন চুক্তি না করলে আগামী মৌসুম শেষেই ফ্রি এজেন্ট হিসেবে শৈশবের ক্লাব ছাড়তে পারবেন কেইন। টটেনহামের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতাও ২৯ বছর বয়সী কেইন। তাই কেইনকে সপ্তাহে ৪ লাখ ৬৯ হাজার ২০০ ইউরো বেতনের প্রস্তাব দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে টটেনহাম। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। ক্লাবের ধারণা অর্থের অঙ্ক দেখে ক্লাব পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবেন কেইন।
টটেনহাম নতুন কোচ এনজে পোস্তেকোগ্লুও কেইনকে ধরে রাখতে চান। তিনি বলেন, ‘হ্যারি ক্লাব ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এক ব্যক্তিত্ব। সে বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার। টটেনহামের সফলতার জন্য আমি তাকে এখানে চাই। আমি নিশ্চিত কেইনও এটাই চায়। তবে এই বিষয়ে আমাকে কোনো নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি। আমি প্রত্যাশাও করছি না। এই ধরনের পরিস্থিতিতে নিশ্চিত করে কখনে কিছু বলা যায় না। তবে কেইন থাকলে আমাদের ভবিষৎ চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করাটা অনেক সহজ হবে।’
টটেনহামের বয়সভিত্তিক দল থেকে উঠে এসেছিলেন হ্যারি কেইন। ২০০৯ সালে টটেনহামের মূল দলের হয়ে অভিষেকের পর থেকে খেলে গেলেও, ক্লাবটির হয়ে এখনো কোনো শিরোপা জিততে পারেননি কেইন। এই শিরোপার খোঁজেই দল পরিবর্তন করতে পারেন এই ইংলিশ স্ট্রাইকার। গত মৌসুমে রবার্ট লেভানডফস্কি বার্সায় যোগ দেয়ায় বিপাকে পড়ে যায় বায়ার্ন। সে ঘাটতি পূরণে লিভারপুল থেকে সাদিও মানেকে নিয়ে এলেও লেভার অভাব তিনি পূরণ করতে পারেননি। ফলে নিজেদের স্কোরিং শক্তি বাড়াতেই কেইনের প্রতি নজর জার্মান ক্লাবটির। তবে কেইন ক্লাব বদলাবেন না কি থেকে যাবেন শৈশবের ক্লাবে- সেটি বলে দেবে সময়।