কুমিল্লায় দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত চিকিৎসক জহিরুল হক মারা গেছেন। আজ সোমবার ভোর সাড়ে ছয়টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী।
তিনি বলেন, ‘ধারাল অস্ত্রের আঘাতে জহিরুল হকের শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাকে কুমেকের আইসিইউতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। সংকটাপন্ন অবস্থায় রোববার ভোরে তাকে পরিবারের সদস্যরা ইউনাইটেড হসপিটালে নিয়ে যান। সেখানে ভোরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
জহিরুল হকের চাচা ডা. একেএম আবদুস সেলিম বলেন, ‘মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়েছে। আনুষ্ঠানিকতা শেষে দুপুরের পর হয়তো মরদেহ কুমিল্লায় পৌঁছবে।’
নিহতের ভাই মো. কামরুজ্জামানের অভিযোগ, রেসকোর্সে শাপলা টাওয়ারের পরিচালনা কমিটি ও চাঁদা দাবি নিয়ে দ্বন্দ্বে গত শনিবার একদল লোক ধারাল অস্ত্র নিয়ে বাসায় ঢুকে ওই চিকিৎসক ও তার স্ত্রী ফারহানা আফরিন হিমিকে কুপিয়ে আহত করেছিল।
এ ঘটনায় চিকিৎসকের স্ত্রী বাদী হয়ে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আসামিরা হলেন- সালাউদ্দিন মোর্শেদ ভুইয়া ওরফে পাপ্পু ও তার স্ত্রী সুমী, ছেলে আরহাম ও আহনাফ এবং সিলভার ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ।
হামলার বিষয়ে মামলায় অভিযুক্ত সিলভার ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে দোষীদের বিচার দাবি করেছেন চিকিৎসকদের সংগঠন বিএমএ কুমিল্লার সভাপতি ডা.আবদুল বাকী আনিস, সাধারণ সম্পাদক ডা. আতাউর রহমান জসীম, স্বাচিপ কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক ডা. মোরশেদ আলম, বিএমপিএ-র সভাপতি ডা. একেএম আবদুস সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক ডা. তৌফিকুন্নবী খান লিটন।
কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহমেদ মনজুর মোর্শেদ বলেন, ‘হামলার ঘটনায় এরই মধ্যে সালাউদ্দিন মোর্শেদ ভুইয়া ওরফে পাপ্পুকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’