নির্বাচন নিয়ে কাউকে আলোচনার জন্য আহ্বান করা হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু। তিনি বলেছেন, নির্বাচনকে নিয়ে নতুন ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। আলোচনার জন্য কাউকে বলা হয়নি, কাউকে দাওয়াতও দেওয়া হয়নি, কাউকে আহ্বান করার সুযোগও নাই। এটা আওয়ামী লীগের বাড়ির দাওয়াত নয় যে, দাওয়াত করে এনে খাওয়াবো।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধুর আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবসে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন আমু। সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে মঙ্গলবার ১৪ দলের এক কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে আমির হোসেন আমু সংলাপ নিয়ে কথা বলেছিলেন। তিনি বলেন, আমরা বিএনপির সাথে মুখোমুখি বসে আলোচনা করে দেখতে চাই। প্রয়োজনে অতীতের মতো জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলের মধ্যস্ততায়ও সেই আলোচনা হতে পারে।
ছয় দফা দিবসের আলোচনায় বলেন, নির্বাচন নিয়ে ২০১৩ সাল থেকে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল। সেই নির্বাচনে জাতিসংঘ থেকে তারানকোকে (জাতিসংঘের সাবেক সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো) পাঠানো হয়েছিল। আমাদের সাথে বৈঠকে আমরা তাদের সামনে প্রমাণ করেছিলাম নির্বাচন না হলে সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হবে। একটি দেশের জন্য সাংবিধানিক শূন্যতা কাম্য হতে পারে না উল্লেখ করেন আমু।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকার গঠন করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে একটি জায়গায় আনতে সক্ষম হয়েছেন। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। আগামী নির্বাচনও হবে সংবিধানের ভিত্তিতে। দেশে সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হতে দেওয়ার সুযোগ নেই।
১৪ দলের মুখপাত্র আরও বলেন, ১৪ দল জোটনেত্রী শেখ হাসিনা অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে যে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন সেটা তিনি করবেন। নির্বাচন হবে সংবিধানের ভিত্তিতে। সবাইকে সে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে আগামীতে ক্ষমতা কার হাতে থাকবে সেটা জনগণ নির্ধারণ করবে।