মশাবাহিত বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের লক্ষ্যে বগুড়ায় করতোয়া নদীতে কচুরিপানা অপসারণ করার মাধ্যমে পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচির উদ্বোধন করলেন বগুড়ার জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলাম।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় শহরের এসপি ব্রিজ এলাকায় জেলা প্রশাসন এ কর্মসূচির আয়োজন করে। এতে সহযোগিতা করে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও অন্যান্য সরকারি দপ্তর। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক বলেন, বগুড়া হচ্ছে উত্তরবঙ্গের ১৬টি জেলার প্রাণকেন্দ্র। বগুড়াকে গ্রিন সিটি ঘোষণা করা হয়েছে। বগুড়ার সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধির জন্য করতোয়া নদীর নাব্য ফিরিয়ে আনতে হবে। করতোয়া নদীকে দখলমুক্ত করতে হবে। সকলের সহযোগিতায় এই নদীকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। বর্তমানে করতোয়া নদীতে ময়লা-আবর্জনা ফেলে ভাগাড়ে পরিণত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলে গেছেন, সরকারি কর্মচারীরা জনগণের সেবক মাত্র। তারা তাদের কাজের মধ্যদিয়ে সাধারণ মানুষের সেবা করবেন। তাই আমরা প্রতিজ্ঞা করেছি যে, বগুড়ার সকল সরকারি দপ্তর মিলে করতোয়া নদীকে পরিস্কার করব।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাজমুল হক বলেন, করতোয়া নদীকে দৃষ্টিনন্দন করতে ও নাব্য ফেরাতে ১২৩ কিলোমিটার জুড়ে আমরা তিন হাজার কোটি টাকার প্রকল্প দাখিল করেছি। এছাড়াও নদী সংস্কারের জন্য ৫০ কোটি টাকার আরেকটি প্রকল্প আছে। এই প্রকল্পের আওতায় ওয়াকওয়ে, গাইডওয়ালসহ কিছু কাজ করা হবে।
বগুড়া পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম বাদশা জানান, করতোয়ায় আগের মত এখন আর পানি নেই। ময়লা-আবর্জনায় করতোয়া নদী বিলীনের পথে। আমরা বগুড়া পৌরসভার পক্ষ থেকে চেষ্টা করিছ জনগণকে উদ্বুদ্ধ করছি কোনভাবেই যেন করতোয়া নদী বিলীন না হয়ে যায়। সেজন্য আমরা বর্জ্যগুলো নিদিষ্টস্থানে ডাম্পিং করছি। বগুড়ার নাগরিকদের কাছে আমার অনুরোধ আপনারা বর্জ্যগুলো নদীতে ফেলবেন না।
কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী, স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক মাসুম আলী বেগ, সিভিল সার্জন ডা. শফিউল আজম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আল মারুফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রশিদ, শরাফত ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. আফসানা ইয়াসমিন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজা পারভীন, পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহজাহান আলম, বগুড়া সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ, পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-১ পরিমল চন্দ্র দাস।