মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২৩ সালে একুশে পদক (মরণোত্তর) পাচ্ছেন নাটোরের কৃতি সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মমতাজ উদ্দিন। রোববার সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শহীদ মমতাজ উদ্দিন ১৯৪৯ সালে ২১ সেপ্টেম্বর নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার আব্দুলপুরের মিল্কিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি স্থানীয় করিমপুর হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন। এরপর নাটোর নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ঈশ্বরদী কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। ছাত্র জীবন থেকে তিনি আওয়ামী ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। লালপুর থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। পড়াশোনা শেষ করে তিনি ১৯৬৮ সালে সালামপুর হাই স্কুলের শিক্ষকতা শুরু করেন।
১৯৭১ সালে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। মুক্তিযুদ্ধ শেষে তিনি পুনরায় শিক্ষকতা পেশায় ফিরে আসেন। ১৯৭৩ সালে থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৭৫ সালে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
মমতাজ উদ্দিনের রাজনৈতিক সততার কারণে আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদের সদস্য পদ লাভ করেন। ১৯৮৬ সালে তিনি নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সর্বশেষ ২০০১ সালে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী ফজলুর রহমান পটলের কাছে পরাজিত হন।
শহীদ মমতাজ উদ্দিনের স্ত্রী, এক ছেলে ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে। স্ত্রী শেফালী মমতাজ সাবেক মহিলা সংসদ সদস্য ছিলেন। ছেলে শামীম আহমেদ সাগর লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
২০০৩ সালের ছয় জুন রাতে লালপুর উপজেলার দাঁইড়পাড়া এলাকায় সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যা করে।