মোবাইলে ধারণ করা একটি অনৈতিক কাজের ভিডিওর কারণেই প্রাণ হারাতে হয়েছে কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগ নেতা সাইফ উদ্দিন আহমেদ’কে।
মোবাইল মেমোরিতে জমা রাখা ভিডিওটি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে বারবার বিছানা সঙ্গী করা হয় এক তরুণ-কে। সেই অপচেষ্টার হাত থেকে রক্ষা পেতেই হোটেল কক্ষে সাইফ উদ্দিকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। ঘাতক হিসেবে সন্দেহভাজন গ্রেপ্তার হওয়া আশরাফুল ইসলাম (১৮) এমন দাবি করেছেন।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আশরাফুলের বরাত দিয়ে এসব কথা তুলে ধরেন পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাহফুজুল ইসলাম।
যেন আক্রমণ করতে না পেরে সেজন্য প্যান্টের বেল্ট খুলে হাত দুটি বেঁধে ফেলে। মৃত্যু নিশ্চিত হলে জামায় লেগে থাকা রক্ত পরিষ্কার করেন। পরে সাইফ উদ্দিনের মুঠোফোন ভেঙে ফেলেন এবং মানিব্যাগ ও অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে সুবিধামতো সময়ে হোটেল থেকে বেরিয়ে যান। এ সময় সাইফ উদ্দিনের মোটরসাইকেল নিয়ে চলে যান আশরাফ।’
এসপি জানান, আটকের পর তার দেখানো ড্রেইনের জলা থেকে মুঠোফোন, মানিব্যাগ ও হত্যায় ব্যবহার করা ছুরিসহ অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি তার দেওয়া তথ্য মতে, সদর উপজেলার খুরুশকুল হতে উদ্ধার হয় এফজেড ভার্সন-৩ মডেলের মোটরসাইকেলটিও।
এসপি মাহফুজ জানান, এ ঘটনায় মামলা এখনো প্রক্রিয়াধীন। ঘটনার পেছনে আর কি কি আছে, কারা সাইফ উদ্দিনের এসব কাজে সহযোগী ছিল তাদের শনাক্তে কাজ চলছে। কারা কারা সাইফুদ্দিনের মতো এমন নৈতিক স্খলনজনিত কাজে জড়িত তাদের শনাক্তে কাজ চলছে।
উল্লেখ্য, গত ২১ আগস্ট সকালে কক্সবাজার শহরের হলিডে মোড়ের হোটেল সানমুনের দ্বিতীয় তলার ২০৮ নম্বর কক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ নেতা সাইফ উদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত সাইফ উদ্দিন কক্সবাজার পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ ঘোনার পাড়ার সাবেক আনসার কমান্ডার আবুল বশিরের ছেলে। তিনি এলাকার কাদেদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ছিলেন। এ ছাড়া তিনি কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের গত কমিটির তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। হত্যার এক দিনের মাথায় হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।