ইসরায়েলের একটি সামরিক বাহিনীর (আইডিএফ) উপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং সহায়তা কমানোর পরিকল্পনা করছে। এমন সংবাদ প্রকাশের পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, তার দেশের সেনাবাহিনীর উপর কোনও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলে, ইসরায়েল সেটি প্রত্যাখ্যান করবে।
রোববার (২১ এপ্রিল) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি আমার সমস্ত শক্তি দিয়ে এর বিরুদ্ধে লড়াই করবো।”
এর আগে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম অ্যাক্সিওস নিউজ সাইট তাদের প্রকাশিত একটি সংবাদে জানায়, ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর নেৎজা ইয়েহুদার ব্যাটালিয়নের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে।
এমন খবরের সত্যতা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, “আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সামনের দিনগুলোয় আপনারা তা দেখতে পাবেন।”
ইসরায়েলের মিত্রদের মধ্যে বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র এর আগে কখনো আইডিএফ ইউনিটের জন্য তাদের সহায়তা কার্যক্রম স্থগিত করেনি।
গত শনিবার (২০ এপ্রিল) মার্কিন গণমাধ্যম অ্যাক্সিওস নিউজ সাইট তিনটি মার্কিন সূত্রের বরাত দিয়ে বলেছে, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন কয়েক দিনের মধ্যেই আইডিএফের নেৎজা ইয়েহুদা ইউনিটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা করবেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
খবরে আরও বলা হয়, ইসরায়েলে অধিকৃত পশ্চিম তীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে আইডিএফের উক্ত ব্যাটালিয়নের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
ইসরায়েলী সামরিক ইউনিটটির বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের মধ্যে অন্যতম ফিলিস্তিন বংশদ্ভূত মার্কিন নাগরিক ওমর আসাদের মৃত্যু।
২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরে চালানো এক তল্লাশি অভিযানের সময় ৮০ বছর বয়সী মি. আসাদের হাত-পা বেঁধে ইসরায়েলি সৈন্য গলা কেটে হত্যা করেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে “লেহি আইন” আইন অনুসরণ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৯৭ সালে তৎকালীন মার্কিন সিনেটর প্যাট্রিক লেহি এই আইনটি উত্থাপন করেছিলেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেসব দেশের সামরিক বাহিনীকে প্রশিক্ষণ বা আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে, তাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ পাওয়া গেলে সাধারণত এই আইনের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয় দেশটি।