ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম আইন ও ভূমি ব্যব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী নওরিন নুসরাত স্নিগ্ধা’র অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। শোকবার্তায় তিনি নিহতের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
এছাড়া উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ. এম. আলী হাসান এবং আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের পক্ষ থেকে বিভাগীয় সভাপতি সাহিদা আখতার স্নিগ্ধার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বিকেলে সাভারের আশুলিয়ার বিজয়নগর রোডে আব্দুর রহিমের মালিকানাধীন বাড়ির ছয় তলার ছাদ থেকে পড়ে মারা যান স্নিগ্ধা। রহস্যজনক এমন মৃত্যুর ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
বাড়ির ম্যানেজার ফারুক হোসেন বলেন, ‘স্নিগ্ধার স্বামী আমাদের এই বাড়িতে ছয় মাস যাবৎ ভাড়া আছে। শুনেছি গত ২১ জুলাই তাদের বিয়ে হয়েছে। ১৫ দিন আগে ইব্রাহিম তার নতুন স্ত্রী স্নিগ্ধাকে নিয়ে এখানে আসে। এরপর আজ বিকেলে হঠাৎ বাড়ির ছাদ থেকে নিচে পড়ে যায় স্নিগ্ধা। খবর পেয়ে আমি দ্রুত গুরুতর অবস্থায় স্নিগ্ধাকে হাবিব ক্লিনিক নিয়ে যাই। পরে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে নানা রকম আলোচনা চলছিল। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় বাসে সিনিয়রকে অপমানের অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে চর্চা হতে থাকে।
তার সহপাঠীরা জানান, হঠাৎ করেই বিয়ে হয়ে যাওয়ায় বিয়ে পরবর্তী সাংসারিক মনোমালিন্য হয়ে থাকতে পারে বলে আশংকা তাদের। তবে তার আত্মহত্যার বিষয়টি আকস্মিক বলে দাবি করেছেন সহপাঠীরা।
নিহত নওরিন নুসরাত স্নিগ্ধা (২৬) টাঙ্গাইল জেলার সদর থানার ইসলামবাগ গ্রামের খন্দকার নজরুল ইসলামের কন্যা। তিনি একজন বিতার্কিক ও কলাম লেখিকা হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সুনাম কুড়িয়েছেন।
নওরীনের স্বামী আটক ইব্রাহিম খলিল চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থানার কলা কান্দা গ্রামের মৃত জহিরুল আলমের ছেলে। সে ভলভো ব্যাটারি কোম্পানির কর্মচারী।