ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ১৮তম ব্যাচের বিদায় সংবর্ধনা ও ২৪তম ব্যাচের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২০ মার্চ) সকাল ১০ টার দিকে ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ১৪০ নং কক্ষে এই আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. এ.কে.এম. নাজমুল হুদার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জীববিজ্ঞান অনুষদ ডিন অধ্যাপক ড. মো. রেজওয়ানুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ ডিন অধ্যাপক ড. তানজীমা পারভীন, বিজ্ঞান অনুষদ ডিন অধ্যাপক মোছা. কামরুননাহার উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. মো. আনারুল হক, অধ্যাপক ড. নিলুফা আখতার বানু, বিভাগীয় শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারিসহ শিক্ষার্থীরা।
এসময় অধ্যাপক ড. মো. রেজওয়ানুল ইসলাম নবীনদের উদ্দেশে বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হওয়ার পর অনেকগুলো অধিকার পেয়েছো। এ অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।
তিনি বিদায়ী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, স্বপ্ন বদলাই, কখনো-বা স্বপ্ন বদলাতে হয়। আর যারা স্বপ্নকে বদলাতে পারবে তারাই জীবনে সার্থকতা পাবে। এখন লাইব্রেরির সমৃদ্ধ, সেমিনার সমৃদ্ধ, হাতে স্মার্টফোন সমৃদ্ধ এগুলো সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। সর্বপরি বঙ্গবন্ধুর অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ তৈরির জন্য আমাদের সকলকে কাজ করে যেতে হবে।
সমাপনী বক্তব্যে বিভাগের সভাপতি অ্যধ্যাপক ড. এ. কে. এম. নাজমুল হুদা বিদায়ী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, তোমরা গত ছয় বছর এখানে থেকে বিদ্যা অর্জন করেছো। এখন তোমাদের দায়িত্ব হচ্ছে বিশ্বজয় করা। তোমাদের বিদায় দিচ্ছি না। আমাদের অনুপ্রেরণায় যেন তোমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাও। আমরা চাই বিশ্বজয় করে এসে আমাদের সাথে দেখা করতে আসো। যাতে তোমাদের উত্তরসূরীরা তোমাদের অনুসরণ করতে পারে।
এছাড়াও তিনি নবীনদের উদ্দেশে বলেন, বিনয়ী হতে হবে ও বিদ্যা অর্জন করতে হবে। এজন্য এই বিভাগের কারিকুলাম, ল্যাব সবকিছুকে ভালোবাসতে হবে। যেদিন ভালোবাসতে পারবে সেদিনই তুমি প্রকৃত জ্ঞান অর্জন করতে পারবে।
অনুষ্ঠানে বিদায়ী শিক্ষার্থীদের স্মৃতিচারণ ও তাদের স্মারক প্রদান করা হয়। এরপর বিভাগীয় শিক্ষক, কর্মকর্তাসহ প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।