২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে দুই দেশের হতাহত সৈন্য সংখ্যা প্রায় পাঁচ লাখের কাছাকাছি পৌঁছেছে। নিউইয়র্ক টাইমস শুক্রবার নাম প্রকাশ না করে মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে
কিয়েভের পাল্টা আক্রমণের ফলে ইউক্রেন এবং রাশিয়া বহু সংখ্যক সৈন্য হারিয়েছে। আহত সেনাদের দ্রুত চিকিৎসা সেবার অভাবে এই সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন যে হতাহতের পরিসংখ্যান অনুমান করা কঠিন ছিল। কারণ মস্কো নিয়মিতভাবে তার যুদ্ধে নিহত ও আহতদের সংখ্যা কম করে বলে মনে করা হয় এবং কিয়েভও সরকারি পরিসংখ্যান প্রকাশ করে না।
রাশিয়ার সামরিক হতাহতের সংখ্যা তিন লাখের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যার মধ্যে প্রায় এক লাখ ২০,০০০ মৃত্যু এবং এক লাখ ৭০,০০০ থেকে ৮০,০০০ জন আহত হয়েছে।
অন্যদিকে, ইউক্রেনের মৃত্যু ৭০,০০০ এর কাছাকাছি এবং ১,০০,০০০ থেকে ১,২০,০০০ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদপত্রটি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলোনস্কির একজন সিনিয়র উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডোলিয়াক নিউইয়র্ক টাইমসের নিবন্ধে মন্তব্য করেছেন, ‘শুধুমাত্র জেনারেল স্টাফরাই এই ধরনের পরিসংখ্যান প্রকাশ করতে পারে। আমরা একটি মডেল গ্রহণ করেছি যেখানে শুধুমাত্র জেনারেল স্টাফদের অধিকার আছে আহত, প্রতিবন্ধী, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ হারানো মানুষ, নিখোঁজদেরসহ এই যুদ্ধে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা সম্পর্কে কথা বলার।’
শুক্রবার সাংবাদিক ইউলিয়া লাতিনিনার ইউটিউব চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচারে তিনি এ কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী দক্ষিণ-পূর্ব ফ্রন্টে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণে এগিয়ে আছে বলে জানিয়েছে।
কিয়েভের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তার বাহিনী একটি গ্রাম মুক্ত করেছে, ২৭ জুলাইয়ের পর যা এই ধরনের প্রথম সাফল্য, যেখানে শক্তিশালী বিমান সহায়তা ছাড়াই রাশিয়ান প্রতিরক্ষা লাইনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হওয়ার চ্যালেঞ্জের ইঙ্গিত দেয়।
মন্তব্যের জন্য রয়টার্সের অনুরোধে ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে কোনও তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। রাশিয়াও এই প্রতিবেদনের ব্যাপারে তাৎক্ষণিক কোনও মন্তব্য করেনি।