ইউক্রেনের অস্ত্র সরবারহ নিয়ে নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন- ন্যাটোকে সতর্ক বার্তা দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর খবর, ন্যাটোর সদস্যরা যদি ইউক্রেন যুদ্ধে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ অব্যাহত রাখে তবে তা গুরুতর বিপদের দিকে যাবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন পুতিন।
পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর কয়েকটি দেশ ইউক্রেনকে ‘এফ-১৬’ যুদ্ধবিমান সরবরাহের পরিকল্পনা করছে। শনিবার সেন্ট পিটারসবার্গে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরামে যোগ দিয়ে পুতিন বলেন, ‘ইউক্রেনে ভারী অস্ত্র সরবারহের মাধ্যমে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করছে ন্যাটো। তারা এখনও ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে।’ তবে ফ্রান্স জানিয়েছে, যুদ্ধবিমান নয়, তারা এসব বিমান চালানোর জন্য ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীকে শুধু প্রশিক্ষণ দেবে।
এরই মধ্যে ইউক্রেনকে ট্যাংক দিয়ে সহায়তা করছে ব্রিটেন এবং জার্মানি। সম্প্রতি ব্রিটেনের চ্যালেঞ্জার-২, জার্মানির লেপার্ড-২ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ব্র্যাডলি সামরিক যান ধ্বংসের দাবি করেছে মস্কো। গত এপ্রিলে ন্যাটোর মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ জানিয়েছিলেন, ইউক্রেনকে দেড় হাজারের বেশি সামরিক যান ও ২৩০টি ট্যাংক দেবে জোট।
পাল্টা হুমকি জানিয়ে পুতিন বলেন, ‘রণক্ষেত্রে লেপার্ডসহ অন্যান্য ট্যাংক ধ্বংস করে দিচ্ছে রাশিয়া। এসব আমাদের লক্ষ্যবস্তু হবে। এই সামরিক সংঘাতে ন্যাটোরই ক্ষতি হবে।’ সেই সাথে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য মস্কোর কাছে পর্যাপ্ত অস্ত্র রয়েছে বলে জানান রুশ প্রেসিডেন্ট। তিনি মন্তব্য করেন ‘ন্যাটোর সদস্যদের তুলনায় রাশিয়ার কাছে বিপুল পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে।’
আর্মস কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত রাশিয়ার প্রায় ৬ হাজার ২৫০টি পারমাণবিক ওয়ারহেডের মোট মজুত ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ৫ হাজার ৫০০-এর বেশি রয়েছে। ন্যাটোর অন্য দুই সদস্য ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের কাছে প্রায় ২২০ এবং ২৯০টি পারমাণবিক ওয়ারহেড রয়েছে।