আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আমেরিকার প্রতিনিধিরা বলে গেছেন, বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। ইউরোপ আমেরিকার প্রতিনিধিদের এ কথা বলার পর বিএনপির মন খারাপ হয়ে গেছে। তাদের মনের আশা পূরণ হয়নি, শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন করতে হবে।
বুধবার বিকেলে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রার আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তায় এ সমাবেশ হয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেন, মানসম্মান থাকতে আন্দোলন ছেড়ে নির্বাচনে আসুন। অন্যথায় মানসম্মান থাকবে না। বলেন, বিএনপিকে পরিস্কার বলতে চাই নির্বাচনে আসুন। নির্বাচনে না আসলে সেটা আপনাদের বিষয়। কিন্তু নির্বাচনে বাধা দিতে আসলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা প্রতিহত করব।
বিএনপির ৫৪ দল, ৩৬ দল, ২৭ দফা, এক দফা, বিএনপি জোট ভুয়া উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের জনগণ বিএনপির ভুয়া রাজনীতি চায় না। বিএনপির অন্তর জ্বালা বেড়ে যাচ্ছে। এক দিনে শত সেতুর উদ্বোধন, আগামী মাসে আরও শত সেতুর উদ্বোধন। পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল। চট্টগ্রামে নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল- এত উন্নয়ন কীভাবে ঠেকাবে? বিএনপির ঘুম নেই, মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি উন্নয়ন বলতে কিছু করেনি। আওয়ামী লীগ সরকারের এত উন্নয়ন দেখে বিএনপি বুঝে গেছে নির্বাচনে কী হবে। নির্বাচনে হেরে যাবে জেনে তাদের মন খারাপ। এজন্য পদযাত্রা করতে গিয়ে খাগড়াছড়িতে, বগুড়ায় স্কুল ছাত্রীদের ওপর হামলা করেছে।
দলীয় নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মাথা গরম করবেন না। বিএনপি ঝগড়া করতে চাইবে। দেশে শান্তি যত থাকবে আওয়ামী লীগের ভোট তত বাড়বে। একদিকে জনগণের শক্তি, অন্যদিকে সন্ত্রাস আর তান্ডব। বলেন, সারা বাংলাদেশে আজ দফা একটা, স্লোগান একটা- শেখ হাসিনার বাংলাদেশ।
শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রাপূর্ব আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচিসহ মহানগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, নির্বাচনকে বানচাল ও দেশকে অস্থিতিশীল করতে ষড়যন্ত্র চলছে, ষড়যন্ত্র আরও হবে। সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। পরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বে সাতরাস্তার মোড় থেকে শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা মহাখালীর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।