পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে পূর্বে খোলা ঋণপত্র (এলসি) দিয়ে ৫২,০০০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ দ্রুত দেশে আনতে চলেছে বাংলাদেশ সরকার। এ বিষয়ে যথাযথ উদ্যোগ নিয়ে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনে চিঠি পাঠিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এছাড়াও কাঁচাবাজারে ন্যায্য মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি নিশ্চিত করতে বাজার মনিটরিংয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসকদের।
গত ৭ ডিসেম্বর ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। তবে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগেই ভারত থেকে প্রায় ৫২,০০০ টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি খুলেছিল বাংলাদেশ। পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে যত দ্রুত সম্ভব ভারত থেকে ওই পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানির প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশ নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগে এলসি খোলা ছিল। এখন ভারত থেকে ৫২,০০০ টন পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা নানা উদ্যোগ নিয়েছি। বিকল্প দেশ থেকেও পেঁয়াজ আমদানি বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। এর পাশাপাশি, নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে পেঁয়াজ বিক্রি অব্যাহত রাখবে টিসিবি।’
এছাড়া জেলায় যৌক্তিক মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের মনিটরিং করতে বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব। যাতে সাধারণ মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের উচ্চমূল্যের ভোগান্তিতে না পড়ে।
তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘সরকার সবকিছু ঠিক করবে এটা সবসময় ঠিক নয়। ব্যবসায়ীদেরও বুঝতে হবে যে ব্যবসা দেশের মানুষের জন্য। ভারত সরকার একদিন পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করলে আমাদের দেশে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। এটি ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের কাছ থেকে দায়িত্বশীল আচরণ নয়।’
এর আগে, জাতীয় ভ্যাট দিবস উপলক্ষে রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় এনবিআর ভবনে এক সেমিনারে বক্তৃতাকালে তপন প্রশ্ন তুলে বলেন, এক দিনের ব্যবধানে কীভাবে দেশে পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৮০ টাকা বাড়তে পারে।
সিনিয়র বাণিজ্য সচিব আরও জানান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর (ডিএনসিআরপি) পেঁয়াজসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেশব্যাপী অভিযান পরিচালনা করছে।