আজ শুরু হচ্ছে টাইগারদের বিশ্বকাপ মিশন

এশিয়া কাপে বড় ব্যবধানে আফগানিস্তানকে হারানোর এক মাস পর, ধর্মশালার ছবির মত সুন্দর হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আবারও আফগানদের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ।

দল ঘোষণা নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্ক পিছনে ফেলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয়ী হয়ে আত্ববিশ্বাস বাড়িয়ে নিতে চাইবে টাইগাররা।

২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা এখন পর্যন্ত ক্রিকেটের বৈশ্বিক আসরে বাংলাদেশের সেরা সাফল্য। এবার এর থেকেও বড় লক্ষ্য নিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করছে বাংলাদেশ। কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে মনে করেন, এবারের আসর প্রতিবেশী দেশ ভারতে হওয়ায় বাংলাদেশের ভালো সুযোগ রয়েছে সেমিতে খেলার। তিনি বলেন, “হ্যাঁ, আমরা সবাই বিশ্বকাপ জিততে চাই… যদি আমরা চার-পাঁচটি ম্যাচ জিততে পারি, আমাদের সেমিফাইনালে যাওয়ার সুযোগ থাকবে, এটাই আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য।”

আফগনিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে ধর্মশালার কন্ডিশন বিবেচনায় সাত ব্যাটারের সাথে তিন পেসার এবং এক স্পিনার খেলাতে পারে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট। সাকিব এবং মিরাজ থাকায় এমন টিম কম্বিশনেও ম্যাচে থাকবে ছয়টি বোলিং অপশন। শেষ দেখায় বড় ব্যবধানে জয় পাওয়ায় মনস্তাত্বিকভাবে এগিয়ে থাকবে টাইগাররা।

অপরদিকে, ২০১৫ সালে প্রথম বিশ্বকাপে জায়গা করে নেওয়ার পর থেকে টানা তৃতীয় বিশ্বকাপ খেলছে দলটি। আট বছর আগের সম্ভাবনাময় দলটি এখন বিশ্বের সকল দলের জন্যই কঠিন প্রতিপক্ষ। নিজেদের দিনে তারা হারাতে পারে বিশ্বের যেকোন দলকে। লেগ-স্পিনিং অলরাউন্ডার রশিদ খানের নেতৃত্বে অসাধারণ একটি বোলিং ইউনিট রয়েছে তাদের।

আফগানিস্তানের অধিনায়ক হাশমতুল্লাহ শাহিদি বলেন, তার দল নিজেদের তৃতীয় বিশ্বকাপের জন্য “সম্পূর্ণ প্রস্তুত”।

তিনি বলেন, “আমরা মিটিং করেছি, আমরা নিজেদেরকে প্রস্তুত করেছি এবং আমরা তাদের খুব ভালোভাবে জানি, তাই আমরা সেই অনুযায়ী খেলব এবং আমরা তাদের বিপক্ষে এই খেলায় ফিরে আসার জন্য দল হিসেবে আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করব।”

এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান ১৫টি ওয়ানডে ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে। যার মধ্যে নয় ম্যাচে জয় টাইগারদের এবং আফগানিস্তানের জয় ছয় ম্যাচে।

এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে মুখোমুখি হওয়া দুটি ম্যাচেই (২০১৫ এবং ২০১৯ সালে) জয়ী দল বাংলাদেশ।