অর্থনীতিতে এ বছর নোবেল পুরস্কার পেলেন আমেরিকান অর্থনৈতিক ইতিহাসবিদ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ক্লডিয়া গোল্ডিন।
শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণের ইতিবাচক দিক সম্পর্কে ধারণা তৈরি করায় তিনি এ পুরস্কার পান।
নোবেল কমিটির মতে, বিশ্বব্যাপী শ্রমবাজারে নারীর অবদান তেমন স্বীকৃত হয় না। তারা পুরুষদের তুলনায় কাজের ক্ষেত্রে কম মজুরি পান। গোল্ডিন এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২০০ বছরেরও বেশি সময়ের তথ্য সংগ্রহ করেছেন। তিনি দেখিয়েছেন কিভাবে ও কেন উপার্জন ও কর্মসংস্থানের হারে লিঙ্গ পার্থক্য সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়েছে।
অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য কমিটির চেয়ারম্যান জ্যাকব সভেনসন বলেছেন, শ্রমবাজারে নারীর ভূমিকার ধারণা সমাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ক্লডিয়া গোল্ডিনের যুগান্তকারী গবেষণার জন্য ধন্যবাদ। আমরা এখন অন্তর্নিহিত কারণগুলো এবং ভবিষ্যতে কোন বাধাগুলো সমাধান করা প্রয়োজন হতে পারে সে সম্পর্কে আরও অনেক কিছু জানি।
ক্লডিয়া গোল্ডিন ১৯৪৬ সালে নিউইয়র্ক শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭২ সালে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয় ১৯৬৯ সাল থেকে। ২০২২ সাল পর্যন্ত এ শাখায় নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে ৫৪টি।
গত ৫৪ বছরের ইতিহাসে চতুর্থ নারী হিসেবে অর্থনীতিতে নোবেল জয় করলেন তিনি।
গত সোমবার (২ অক্টোবর) থেকে এই বছরের নোবেল পুরস্কার ঘোষণা শুরু হয়। আগেই ঘোষিত হয়েছে শান্তি, সাহিত্য, চিকিৎসা, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নে নোবেল বিজয়ীদের নাম।
এই বছর শান্তিতে নোবেল জিতেছেন ইরানের মানবাধিকার কর্মী নার্গেস মোহাম্মদি। ইরানে নারী নিপীড়ন বিরোধী লড়াই এবং সবার জন্য মানবাধিকার আর স্বাধীনতা সমুন্নত করার প্রয়াসের জন্য তাকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
এরপর সাহিত্যে নোবেল জিতেছেন নরওয়ের লেখক জন ফসে। নরওয়েজিয়ান এ লেখক তার উদ্ভাবনী নাটক ও গদ্যের জন্য এ সম্মানজনক পুরস্কারন পান। তার লেখা নাটক ও গদ্য বোবাকেও কন্ঠ দিতে সক্ষম।
রসায়নে নোবের বিজয়ী তিনজন হলেন, মুঙ্গি জি. বাভেন্দি, লুই ই. ব্রুস ও আলেক্সেই আই. আকিমভ। ফান্ডামেন্টাল ন্যানো টেকনোলজির উদ্ভাবনের জন্য তাদেরকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
এ বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও সুইডেনের তিন বিজ্ঞানী। ইলেকট্রন গতিবিদ্যার গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য তাদের এই পুরস্কার দেয় নোবেল কমিটি।