একাদশ সংসদে অধিবেশন চলাকালে অধিকাংশ সাংসদ অতিরিক্ত মাত্রায় মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। অধিবেশনে মনোযোগ না দিয়ে ফোন ব্যবহার, খোশগল্পে মাতেন অথবা ঘুমান। টিআইবির গবেষণায় উঠে এসেছে এসব তথ্য।
রোববার ( ১ অক্টোবর) ধানমণ্ডিতে সংস্থাটির নিজস্ব কার্যালয়ে গবেষণাপত্র উপস্থাপন কালে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। গবেষণা পত্র উপস্থাপন করেন রাবেয়া আক্তার কনিকা ও আব্দুল হান্নান সাখিদার। বক্তব্য রাখেন নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সংসদের স্থায়ী কমিটিগুলো কাজ করছে না। ৫০ কমিটি রয়েছে। প্রতি মাসে কমপক্ষে একটি করে বৈঠক করার কথা থাকলেও প্রতি মাসে কোনো কমিটিই বৈঠক করেনি। বর্তমান সংসদের মেয়াদকালে একটিও সভা করেনি অর্থমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কমিটি। করোনা কালের ১৮ মাসে ১৩ মাসই বৈঠক করেনি স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কমিটি।
সংসদীয় স্থায়ী কমিটির নিয়মিত বৈঠক এবং প্রতিবেদন প্ৰণনয়ন ও প্রকাশ নিশ্চিত করতে পরামর্শ দেন তিনি।
গবেষণায় উঠে আসে, বর্তমান একাদশ সংসদে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পেশার সংসদ সদস্য হলেন আইনজীবী। আইনজীবী রয়েছেন ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ, কৃষিজীবি ১১ দশমিক ৪ শতাংশ, রাজনীতিবিদ ১১ শতাংশ।
বর্তমান একাদশ সংসদে ৬২ দশমিক ৩ শতাংশ ব্যবসায়ী। আগের তিন মেয়াদ অষ্টম সংসদে ৫৮ শতাংশ, নবম ৫৭ শতাংশ এবং দশম সংসদে ৫৯ শতাংশ ব্যবসায়ী ছিলেন। চার মেয়াদে সংসদে ব্যবসায়ীদের হার বেড়েছে ৪ শতাংশ।
সংসদে স্নাতকোত্তর ৪১ দশমিক ১ শতাংশ, স্নাতক ৩৯ দশমিক ৭ শতাংশ, মাধ্যমিক ১১ দশমিক ১ শতাংশ, নিম্ন মাধ্যমিক ২ দশমিক ৯ শতাংশ, নিম্নমাধ্যমিক ১ দশমিক ৪ শতাংশ, স্বশিক্ষিত ৩ দশমিক ৪ শতাংশ এবং স্বাক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন দশমিক ৩ শতাংশ। এসব সাংসদ সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রথম বারের মত নির্বাচিত, ১০ শতাংশ ৫ বা তার অধিক বার নির্বাচিত। এসব সংসদ সদস্যদের ২১ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে বলে টিআইবির গবেষণা পত্র থেকে জানা যায়।
সংসদে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের প্রতি আক্রমানত্মক শব্দের ব্যবহার করা হয়। নারী সদস্যের বিরুদ্ধে আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার করা হয়। বিরোধী দলের চেয়ে সরকারি দলের ক্ষেত্রে এসব ব্যত্যয় বেশি হয় বলে উল্লেখ করা হয় টিআইবির গবেষণায়।