হামলা ঠেকানোর সাফাই গাইছে ইসরায়েল

ইরানের উৎক্ষেপণ করা প্রায় সকল ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যে আঘাত হানার আগেই সফলভাবে ধ্বংস করে আবারো নিজেদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সক্ষমতা প্রদর্শন করেছে ইসরাইল।

হামলার তীব্রতা সত্ত্বেও ইরান এবং তার মিত্রদের নিক্ষেপ করা ১৭০টি ড্রোনের একটিও ইসরায়েলের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেনি, দাবি করেছে ইসরায়েল।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডএম ড্যানিয়েল হাগারির মতে, প্রায় নিরানব্বই শতাংশ ব্যারেজ ইসরায়েলের আকাশসীমার বাইরে বা দেশের ভিতরেই নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।

ড্রোন, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপনাস্ত্রের সমন্বয়ে এই হামলায় ইরান, ইরাক, সিরিয়া এবং ইয়েমেন থেকে মোট ৩০০টিরও অধিক ইসরাইলের ভূখণ্ডে নিক্ষেপ করা হয়। ইরান ও তার মিত্রদের প্রবল হামলা সত্ত্বেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো মিত্রদের সাহায্য নিয়ে তৈরি শক্তিশালী ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা কার্যকরভাবে হুমকি মোকাবেলা করেছে।

এফ-৩৫ স্টিলথ ফাইটারসহ উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে, ইসরায়েল আকাশসীমায় আগত বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র নিষ্ক্রিয় করে। আইডিএফ জানিয়েছে, ইসরায়েলের আকাশসীমায় প্রবেশের আগে ইরানের ৩০টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ২৫টি সফলভাবে ধ্বংস করা হয়েছে।

ডেভিড’স স্লিং ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বিন্যাসের আরেকটি বড় ধাপ যা স্বল্প পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন থেকে দখলদার অধ্যুষিত এলাকাটিতে সুরক্ষা প্রদান করে।

তবে জোরালো এই হামলা সামাল দিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে বড় পাল্লার প্রজেক্টাইল মোকাবেলায় বিশেষভাবে ডিজাইনকৃত ইসরায়েলের এরিয়াল ডিফেন্স অ্যারে, তিন স্তরের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে এটি গঠিত।

অ্যারো-৩ এক্সোঅ্যাটমস্ফিয়ারিক হাইপারসনিক অ্যান্টি-ব্যালিস্টিক হামলা মোকাবেলায় বিশ্বের অন্যতম উন্নত সিস্টেম, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাইরে থেকে ধারণকৃত ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসের ফুটেজে যা স্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত হয়েছে।